মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পূর্ব নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘন করায় সংসদীয় আসন ২৯৬, কক্সবাজার-৩ (কক্সবাজার সদর-রামু-ঈদগাহ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমলকে শোকজ করা হয়েছে।
একই সংসদীয় আসনের দায়িত্ব প্রাপ্ত নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও কক্সবাজারের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোছাঃ রেশমা খাতুন শনিবার (২ ডিসেম্বর) কারণ দর্শানোর এই নোটিশ (শোকজ) প্রদান করেন।
কক্সবাজারের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বেঞ্চ সহকারী ও নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির সহায়ক স্টাফ সেতু বড়ুয়া ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রদত্ত শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কক্সবাজার-৩ (কক্সবাজার সদর-রামু-ঈদগাহ) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল গত শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের ঈদগাঁহ উপজেলার ঈদগাঁহ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এলাকায় জুমার নামাজের আগে ও পরে দলীয় নেতা-কর্মী সহ মটর বাইক সহযোগে শোডাউন করেছেন এবং নির্বাচনী প্রচারণা চলিয়েছেন। যা বিভিন্ন গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ভিডিও ফুটেজে ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রচারিত হয়েছে।
শোকজ নোটিশে আরো বলা হয়, এ ধরনের কাজ “সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ৬(খ), ৬(গ), ৮(ক), ১১(খ) এবং ১২ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।”
এ অবস্থায় উল্লেখিত বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমলের কোন বক্তব্য থাকলে তা আগামী বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার মধ্যে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান তথা কক্সবাজারের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের কার্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে বা উপযুক্ত কোন প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা প্রদান করতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৯১-এ (৫) (এ) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শোকজ নোটিশ প্রাপ্ত কক্সবাজার-৩ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল একই আসনের বর্তমান সদস্য। তিনি এ আসনে এবার সহ পর পর ৪ বার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালায় বলা হয়েছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা এর মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাঁদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ সময়ের আগে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। সে হিসাবে ১৫ ডিসেম্বরের আগে কেউই নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন না।
এছাড়া, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালা অনুসারে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তাদের মনোনীত প্রার্থী বা তাঁদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল বা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহন নিয়ে মিছিল বের করতে পারবেন না। মহড়াও করতে পারবেন না।