প্রবীণ নাগরিকেরা দেশের জন্য বোঝা নয়, বরং অমূল্য সম্পদ উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে প্রবীণ নাগরিকেরা দেশের জন্য বোঝা নয়, বরং অমূল্য সম্পদ। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশকে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করিয়ে দেওয়া এবং নব্য স্বাধীন দেশকে ভঙ্গুর অবস্থা থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরের যে বিস্ময়কর যাত্রা—এর প্রকৃত রূপকার কিন্তু আপনারাই (প্রবীণেরা)।
রাজধানীর সোবহানবাগে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও অল বাংলাদেশ সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে ‘ক্রমবর্ধমান প্রবীণ নাগরিকদের কল্যাণ ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় করণীয়’ দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনীতে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) তিনি এসব কথা বলেন।
প্রবীণদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বয়স নিছক একটি সংখ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। আপনার বয়স নয়, আপনার জ্ঞান, প্রজ্ঞা, লব্ধ অভিজ্ঞতা—সমাজকে বদলে দিতে পারে। আপনারা প্রত্যেকে কারও না কারও আদর্শ।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বলেন, ‘আজকের তরুণেরাই ভবিষ্যতের প্রবীণ। সুতরাং, আমাদের সবারই উচিত প্রবীণদের সম্মান করা, সহযোগিতা করা। আমি অঙ্গীকার করছি, প্রবীণদের যেকোনো উদ্যোগে আরও বেশি করে সম্পৃক্ত থাকব।’
সকালে কর্মশালার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অল বাংলাদেশ সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি মো. মমতাজউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান।
কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফোরাম ফর দ্য রাইটস অব দ্য এল্ডারলি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল জীবন কানাই দাস (অব.)। আরও বক্তব্য দেন অল বাংলাদেশ সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির মহাসচিব ইঞ্জি. মো. ফজলুল হক, সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশিদসহ আরও অনেকে।