সদস্য আইনজীবীদের বার্ষিক আয়কর রিটার্ন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। পেশাজীবী সংগঠনের সদস্যপদ লাভ ও নবায়নে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগে। সে জন্য বার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে সদস্যদের এই শর্ত পরিপালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত ৭ ডিসেম্বর সংস্থার সচিব ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার এ নোটিশ জারি করেছেন। এর আগে অবশ্য গত অক্টোবরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে পেশাজীবী সংগঠনের সদস্যদের রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক থাকার বিষয়টি অবহিত করা হয়। এর পাশাপাশি রিটার্ন জমার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়।
বর্তমানে ৪৩ ধরনের সরকারি–বেসরকারি সেবা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক। এর মধ্যে একটি হলো পেশাজীবী সংগঠনের সদস্যপদ গ্রহণ ও নবায়ন—পেশাজীবীদের মধ্যে আছেন চিকিৎসক, প্রকৌশলী, স্থপতি, আইনজীবী ইত্যাদি।
এবার আয়কর রিটার্ন জমার মেয়াদ দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৩১ জানুয়ারি ব্যক্তিশ্রেণির রিটার্ন জমার শেষ দিন। এই সময়ের মধ্যে রিটার্ন জমা না দিলে করের পরিমাণ বাড়বে, আবার জরিমানাও দিতে হবে।
যেসব সেবায় রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক, সেগুলোর মধ্যে আছে-
- নির্দিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক সিটি করপোরেশন এলাকায় বাড়িভাড়া বা লিজ গ্রহণের সময় বাড়ির মালিকের;
- ব্যক্তি কর্তৃক সেবা বা পণ্য গ্রহণকালে ওই পণ্য বা সেবা সরবরাহকারীর;
- ট্রাস্ট, তহবিল, ফাউন্ডেশন, এনজিও, ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী সংস্থা, সোসাইটি ও সমবায় সমিতির ব্যাংক হিসাব খুলতে ও চালু রাখতে;
- অভিজাত ক্লাবের সদস্য হতে;
- স্ট্যাম্প, কোর্ট ফি ও কার্টিজ পেপারে ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসেবে নিবন্ধন, লাইসেন্স বা তালিকাভুক্তি করতে বা বহাল রাখতে;
- রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে গঠিত কর্তৃপক্ষ বা অন্য সিটি করপোরেশন, পৌরসভায় অনুমোদনের জন্য ভবন নকশার আবেদন দাখিলকালে।