কক্সবাজার-২ আসনে বিএনএম প্রার্থী শরীফ বাদশাকে শোকজ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোহাম্মদ শরীফ বাদশা

কক্সবাজার-২ আসনে শরীফ বাদশাকে আবারো শোকজ

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনি আচরণ বিধি-বিধান লঙ্ঘন করায় সংসদীয় আসন ২৯৫, কক্সবাজার-২ (কুতুবদিয়া-মহেশখালী) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোহাম্মদ শরীফ বাদশাকে আবারো শোকজ করা হয়েছে।

একই সংসদীয় আসনের দায়িত্ব প্রাপ্ত নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী জজ সুশান্ত প্রসাদ চাকমা শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) কারণ দর্শানোর এই নোটিশ (শোকজ নোটিশ) ইস্যু করেন। এবার সহ তাঁকে দ্বিতীয়বারের মতো শোকজ করা হলো।

কক্সবাজার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের নাজির ও নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির সহায়ক স্টাফ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন সোহেল ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ইস্যুকৃত শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২৯৫, কক্সবাজার-২ (কুতুবদিয়া-মহেশখালী) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোহাম্মদ শরীফ বাদশা গত বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ৯ টা ৫৫ মিনিটে মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নির্বাচনে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আশেক উল্লাহ রফিক এর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ওসমান সরওয়ার’কে নিজ ০১৭৩২৬৬২৫২৫ নম্বর মোবাইল ফোন থেকে কল করে তাকে, তার মা, বোনদের জড়িয়ে অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ এবং হুমকি প্রদান করেন।

একইদিন রাত ৯ টা ৪৫ মিনিটে অনুরূপভাবে বিএনএম এর সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহাম্মদ শরীফ বাদশা’র সমর্থক ও মহেশখালী উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা বাঁশি তার ০১৮১৫৫৪৫০৯৫ নম্বর মোবাইল ফোন থেকে কল করে শাপলাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচনে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আশেক উল্লাহ রফিক এর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক জসিম উদ্দিন মাহমুদ’কে, তার মা, বোনদের জড়িয়ে অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ এবং হুমকি প্রদান করেন।

উল্লেখিত দুটি ঘটনার বিষয়ে কক্সবাজার-২ আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এর কাছে পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

শোকজ নোটিশে আরো বলা হয়, এ ধরনের কাজ ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮’ এর ১১(ক) বিধির বর্ণিত বিধান এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৭৭ অনুচ্ছেদে বর্ণিত বিধান লঙ্ঘন করছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়।

এ অবস্থায় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ অনুযায়ী নির্বাচন-পূর্ব নির্বাচনি আচরণ বিধি-বিধান ভঙ্গের দায়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোহাম্মদ শরীফ বাদশা এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে কেন সুপারিশ করা হবে না, তা আগামী সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেল ৪ টার মধ্যে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান তথা কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী জজ সুশান্ত প্রসাদ চাকমা এর কার্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে কিংবা উপযুক্ত কোন প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা প্রদান করতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৯১এ অনুচ্ছেদের (৫)(এ) উপ-অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শোকজ নোটিশ প্রাপ্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোহাম্মদ শরীফ বাদশা নোঙর প্রতীক নিয়ে এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আশেক উল্লাহ রফিক নৌকা প্রতীক নিয়ে কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত সময়ের আগে নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর অভিযোগে কক্সবাজার-২ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মনোনীত নোঙর প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোহাম্মদ শরীফ বাদশা’কে আগেও নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি আরো একবার শোকজ করেছিলো। এবার তাঁকে দ্বিতীয়বারের মতো শোকজ করা হলো।