বায়ুর মানমাত্রা অস্বাস্থ্যকর, অতি অস্বাস্থ্যকর ও বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছালে তা থেকে জনসাধারণকে রক্ষায় অ্যালার্ট সিস্টেম চালুর মাধ্যমে জরুরি সতর্কীকরণ বার্তা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা রিটের মামলায় ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির আদেশ বাস্তবায়ন চেয়ে আবেদন করা হয়।
আবেদনে বেলার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস হাসানুল বান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ সরকার।
বেলা জানায়, বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণকারী সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালের পর্যবেক্ষণ (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) অনুযায়ী ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ ১ সপ্তাহ এবং চলতি বছরের জানুয়ারির অধিকাংশ দিনে রাজধানী ঢাকার বায়ুর মানমাত্রা অস্বাস্থ্যকর, অতি অস্বাস্থ্যকর ও বিপজ্জনক পর্যায়ে থাকা সত্ত্বেও তা থেকে জনসাধারণকে রক্ষায় আদালতের নির্দেশ ও বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২ এর বিধি ১৩(৫) অনুযায়ী কোনো রকম সতর্কীকরণ বার্তা দেওয়া হয়নি।
এ কারণে বেলা আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত বায়ুদূষণের প্রধান উৎসসমূহ ও কার্যক্রম চিহ্নিত করতে ও বায়ুদূষণ হ্রাস করতে বিবাদীদের সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে আদালত বিবাদীদের বায়ুর মানমাত্রা অস্বাস্থ্যকর, অতি অস্বাস্থ্যকর ও বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছালে তা থেকে জনসাধারণকে রক্ষায় আত্ম-সুরক্ষামূলক ব্যবস্থাদি গ্রহণের দিক-নির্দেশনা দিয়ে অ্যালার্ট সিস্টেম চালুর মাধ্যমে জরুরি সতর্কীকরণ বার্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে নির্দেশ প্রতিপালনবিষয়ক প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।