তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় এনআইডি করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দায়ের করা প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারপারসন ডা. সাবরিনা শারমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
আজ সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালত আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
এ সময় ডা. সাবরিনা আদালতে উপস্থিত থেকে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান। আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. ওসমান গনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে ২০২০ সালের ৩০ আগস্ট সাবরিনার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় মামলাটি দায়ের করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া। ২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিপন উদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বর্তমানে সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে। সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন।
তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ দেওয়া ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী।
এর আগে ২০২২ সালের ১৯ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন জাল করোনা সনদ দেওয়ার মামলায় সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুলসহ ৬ জনকে ১১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। বর্তমানে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারামুক্ত আছেন তিনি।