রাজধানীর বেইলি রোডে আগুন লাগার ঘটনায় দায়ের করা মামলা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, এই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য আমাদের প্রসিকিউশনকে যে নির্দেশনা দেওয়া দরকার সেটি দেওয়া হবে।’
আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় কার্য-অধিবেশন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি আমার বক্তব্যে প্রথমে ডিসিদের কাছে মামলার জটের বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছি। মামলা জট নিরসনের জন্য তারা যেন সহযোগিতা করেন। দ্বিতীয় কথা যেটা বলেছি সেটা হলো, সকলের কাছে বিশেষ করে ডিসিদের জন্য একটা ইস্যু। সেটা হলো মোবাইল কোর্ট অ্যাক্টের বিরুদ্ধে একটা মামলা আছে। সেটা নিষ্পত্তি করার জন্য আমরা তড়িৎ পদক্ষেপ নেব এবং একটা বিষয়ে স্পষ্টকরণ করা হয়েছে, সেটা হলো অনেক সময় হাইকোর্ট বিভাগে কেউ যদি মামলা করে তখন হাইকোর্ট একটা আবেদন নিষ্পত্তির জন্য আদেশ দেন। সেক্ষেত্রে অনেক সময় জটিলতা দেখা দেয় যে হাইকোর্টের আদেশ না বুঝতে অনেক দেরি করা হয়। সে বিষয়ে স্পষ্টকরণ করে দেওয়া হয়েছে।’
ডিসিরা কী বলেছেন এবং আপনার তরফ থেকে তাদের কী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ডিসিরা কিছু সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন করেছেন এবং আমাদের আইন সচিব সে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। যেসব মাল জব্দ করা হয়, তা নিষ্পত্তির বিষয়ে কী করা উচিত এবং আধুনিকায়নের বিষয়ে কিছু প্রস্তাব এসেছে আমরা ই-জুডিশিয়ারির কথা বলেছি। সেখানে কতটুকু সুবিধা হবে সে কথা বলেছি।
বাজার ব্যবস্থা যদি কেউ অস্থিতিশীল বা অবৈধভাবে মজুদ করে তাহলে তাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। সে বিষয়ে ডিসিদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজেই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য ১৯৭৪ সালে স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট করা হয়েছিল। বিশেষ এই কারণটাকে চিহ্নিত করার জন্য এই অ্যাক্ট করা হয়েছে। আর আমি এখন আপনাদের মাধ্যমে বলছি, এ রকম কাজ করলে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’