গেলো বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে মামলা নিষ্পতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে বিচারকদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে। সিএমএম আদালতের সভাকক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম বিচারকদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।
এ বিষয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতের সহকারী নাজির আনোয়ার হোসেন বলেন, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন মাসে সেরা নিষ্পত্তিকারী এবং সবচেয়ে বেশি সাক্ষ্যগ্রহণকারী বিচারকদের ঢাকার সিএমএম রেজাউল করিম ক্রেস্ট তুলে দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সর্বোচ্চ সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিককে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সাক্ষ্যগ্রহণে প্রথম হয়েছেন তিনি। অপরদিকে, সর্বোচ্চ সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দ্বিতীয়তে রয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী ও তৃতীয়তে তরিকুল ইসলাম।
২০২৩ সালের মার্চ মাসে সর্বোচ্চ সাক্ষীর জন্য ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে আতাউল্লাহ ও মাহবুব আহমেদ এই সম্মানে ভূষিত হন।
এপ্রিলে সর্বোচ্চ সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম। এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে রাজেশ চৌধুরী ও মো. শেখ সাদী এই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
মে মাসে সর্বোচ্চ সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সম্মাননা পেয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন। প্রথম হয়েছেন মাহবুব আহমেদ।
জুনে সর্বোচ্চ সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সম্মাননা পেয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এবং প্রথম হয়েছেন ফারাহ দিবা ছন্দা। এ ছাড়া দ্বিতীয়তে আছেন মাহবুব আহমেদ ও তৃতীয়তে রাজেশ চৌধুরী।
জুলাইতে সর্বোচ্চ সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সম্মাননা পেয়েছেন রাজেশ চৌধুরী এবং তিনিই প্রথম হয়েছেন। এই মাসে দ্বিতীয় হয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন ও তৃতীয় সাইফুল ইসলাম।
আগস্টে সর্বোচ্চ সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সম্মাননা পেয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন। এ মাসে দ্বিতীয় হয়েছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহাম্মদ ও তৃতীয় হন রাজেশ চৌধুরী।
সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সম্মাননা পেয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন। প্রথম হয়েছেন মো. শাকিল আহাম্মদ, দ্বিতীয় মাহবুব আহমেদ এবং তৃতীয় হন আতাউল্লাহ।
অক্টোবরে সর্বোচ্চ সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সম্মাননা পেয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন। এ ছাড়া প্রথম অবস্থানে আছেন আতাউল্লাহ এবং দ্বিতীয় ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী।
নভেম্বরে সর্বোচ্চ সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সম্মাননা পেয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন। এই মাসে দ্বিতীয়তে রাজেশ চৌধুরী ও তৃতীয়তে আতাউল্লাহ সাক্ষ্যগ্রহণের সম্মাননা পান।
বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে সর্বোচ্চ সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সম্মাননা পেয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন। এ মাসে দ্বিতীয় মো. মামুনুর রশিদ ও তৃতীয় রাজেশ চৌধুরী।
সহকারী নাজির আনোয়ার হোসেন বলেন, ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন সর্বোচ্চ ১৪টি ক্রেস্ট পেয়ে প্রথম ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী ৮টি ক্রেস্ট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালেও মামলা নিষ্পত্তির মাধ্যমে বিচারপ্রার্থী জনসাধারণের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য অধীনস্থ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটগণকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী নির্দেশনা দিয়েছেন।