বিচারকের স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগে আদালতে কর্মরত দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৭ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (২৭ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন।
এদিন মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন।
কোতয়ালী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আশ্রাব আলী এ তথ্য জানান।
রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন- আদালতের মোটরযান শাখার ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক ফুয়াদ উদ্দিন এবং কনস্টেবল আবু মুছা।
এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১০ এর বেঞ্চ সহকারী ইমরান হোসেন বাদী হয়ে কোতয়ালি থানায় মামলাটি করেন। পরদিন ২৬ সেপ্টেম্বর মামলার এজাহার আদালতে আসে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহা দিবা ছন্দার আদালত তা গ্রহণ করেন। কোতয়ালী থানার সাব-ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলামকে মামলাটি তদন্ত আগামী ২৬ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী ১০ নং আদালতের পাশাপাশি মোটরযান সম্পর্কিত মামলা পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত। গত ২৪ সেপ্টেম্বর আড়াইটার দিকে মোটরযান শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ এসআই ফুয়াদ উদ্দিন অন্যান্য নথির সঙ্গ নন এফআইআরের দুটি মামলা বিচারকের কাছে উপস্থাপন করেন। কিন্তু আসামি না থাকায় বিচারক কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি।
পরে বিচারক জানতে পারেন, মামলা দুটির জব্দ করা আলামত মোটরযান শাখার ইনচার্জ ফুয়াদ উদ্দিন ও কনস্টেবল আবু মুছা তাদের অন্যান্য সহযোগীদের যোগসাজশে বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে পরোয়ানা ফেরত কাগজে ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষরের জায়গায় নিজেরা স্বাক্ষর দিয়ে আসামিদের দিয়ে দেন। যার ফটোকপি নথিতে সংযুক্ত।
তাছাড়া এ মামলার নথিতে বিচারকের কোনো স্বাক্ষর নেই এবং কোনো জরিমানা করেননি। বিচারক ইতিমধ্যে অবগত হয়েছেন, মোটরযান শাখার ইনচার্জ এসআই ফুয়াদ উদ্দিন ও জিআরও আবু মুছা তাদের অন্যান্য সহযোগীদের যোগসাজশে দীর্ঘ দিন ধরে বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে একই ধরনের অপরাধ করে আসছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।