বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগে স্ত্রী সাথী আক্তারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া।
আজ রোববার (৩১ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তিনি এ মামলা করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্ত করে ২৭ জুন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।
জল্লাদ শাহ জাহান ভূঁইয়ার আইনজীবী ওসমান গনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ৪৪ বছর কারাবাসের পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন মুক্তি পান মো. শাহজাহান ভূইয়া (৬৭) ওরফে জল্লাদ শাহজাহান। এরপর সাথী আক্তার ফাতেমাকে ১০ লাখ টাকা নগদ এবং ৫ লাখ টাকা দেন মোহর দিয়ে বিয়ে করেন।
কিন্তু বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই তার স্ত্রী টিকটক ও বন্ধু-বান্ধব নিয়ে বাইরে ঘোরাঘোরি শুরু করে। এতে শাহজাহান বাধা দিলে তার স্ত্রী ঝগড়া করে বাড়ি থেকে চলে যান। এরপর এ বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় গিয়ে উল্টো তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ অবস্থায় বিয়ের আগে ও পরে ধার নেয়া প্রায় ১৩ লক্ষাধিক টাকা ফেরত চেয়ে আদালতে ওই মামলাটি দায়ের করেন জল্লাদ শাহজাহান।
উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ৩৬টি মামলায় তার ১৪৩ বছরের সাজা হয় শাহজাহানের। পরে ৩৭ বছর কারাভোগ অবস্থায় জেল কর্তৃপক্ষ তাকে ১৪৩ বছর সাজা মাফ করে ৫৬ বছরের জন্য সাজা দেয়। বিভিন্ন সময় ফাঁসি কার্যকর কারা ও সশ্রম কারাদণ্ডের সুবিধার কারণে তার সাজা ৪৩ বছরে এসে পৌঁছায়। দুটি মামলায় ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাস করে অতিরিক্ত এক বছর সাজা খেটে ৪৪ বছরের বন্দি জীবন থেকে ২০২৩ সালের ১৮ জুন মুক্ত আকাশে শ্বাস ফেলার সুযোগ পান জল্লাদ শাহজাহান।