চলমান উচ্চ তাপমাত্রার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের উভয় (হাইকোর্ট ও আপিল) বিভাগের আইনজীবীদের মামলা পরিচালনাকালীন পরিধেয় পোষাক নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এতে আইনজীবীদের গাউন পরিধানের আবশ্যকতা শিথিল করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নির্দেশক্রমে আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী সই করা এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির ভাষ্যমতে, দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রধান বিচারপতির সাথে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের আলোচনাক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এই নির্দেশনা আগামীকাল রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী নির্দেশনা প্রদান না করা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গরমে আদালতে কালো কোট ও গাউন পরতে হবে না
এর আগে গত ৪ এপ্রিল চলমান উচ্চ তাপমাত্রার পরিপ্রেক্ষিতে অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত/ট্রাইব্যুনালসমূহের বিচারক ও আইনজীবীদের মামলা পরিচালনাকালীন পরিধেয় পোষাক নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নির্দেশক্রমে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী সই করা এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তির ভাষ্যমতে, অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত/ট্রাইব্যুনালসমূহের বিচারক ও আইনজীবীদের মামলা শুনানীকালে পরিধেয় পোষাক সংক্রান্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের ২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবর জারি করা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করে একই বছরের ১৩ মে জারি করা বিজ্ঞপ্তি পুনর্বহাল করা হয়েছে।
ফলে দেশের সকল অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত/ট্রাইব্যুনালসমূহের বিচারক ও আইনজীবীরা ক্ষেত্রমতে সাদা ফুলশার্ট বা সাদা শাড়ি/সালোয়ার কামিজ ও সাদা নেক ব্যান্ড/কালো টাই পরিধান করবেন। এক্ষেত্রে কালো কোট এবং গাউন পরিধানের আশব্যকতা নেই।
দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশের বিভিন্ন আইনজীবী সমিতির আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সাথে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের আলোচনাক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
গত ৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া এই নির্দেশনা পরবর্তী নির্দেশ প্রদান না করা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।