স্বামী ঝগড়া করেন না, স্ত্রী রান্না পারেন না! বিবাহবিচ্ছেদের অদ্ভুত সব যুক্তি শোনালেন আইনজীবী

আইনজীবীর ভুলে ২১ বছরের সংসার ভাঙল ব্রিটিশ দম্পতির

ডিভোর্সের আইন বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম। এমন অনেক দেশ আছে যেখানে সহজেই ডিভোর্স হয়ে যায়। আবার অনেক দেশে ডিভোর্সে সময় লাগে কয়েক মাস বা কয়েক বছর।

কিন্তু সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে, যা দেখে অবাক না হয়ে পারবেন না। সেখানে এক আদালত, ভুলবশত এক দম্পতিকে ডিভোর্স করিয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো হইচই শুরু হয়েছে। যদিও বিচারক রায় প্রত্যাহার করতে রাজি হননি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিস্টার অ্যান্ড মিসেস উইলিয়ামস নামে পরিচিত এই দম্পতি ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২১ বছর ধরে বিবাহিত ছিলেন। কিন্তু আদালত এখন বিবাহ বিচ্ছেদ করিয়েছে। যদিও ওই দম্পতি বিবাহবিচ্ছেদ চেয়েছিল। তবে তাঁদের আর্থিক চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি।

কিন্তু আদালতে একটি বিবাহবিচ্ছেদের শুনানি চলার সময় সেখানকার আইনজীবী কম্পিউটারের ড্রপ ডাউন মেনু থেকে মিস্টার এবং মিসেস উইলিয়ামসের নাম নির্বাচন করেন। তাতেই দুজনের ডিভোর্স হয়ে যায়। ফলে ২১ বছরের বিবাহিত জীবন মাত্র ২১ মিনিটে ভেঙে যায় দম্পতির।

এই ভুল সম্পর্কে বিচারককে জানানোও হয়। তবে তিনি জানিয়ে দেন রায় আর বদলাবেন না। বিচারক জানান, এতে আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাবে।

বিচারক ওই ক্লার্ককে জিজ্ঞেস করেছিলেন, এমন ভুল হয় কী করে? তখন সেই ক্লার্ক জানান, অন্য এক দম্পতির জন্য চূড়ান্ত বিবাহবিচ্ছেদ করানোর সময় এই ভুল হয়েছে। আর তিনি তা খেয়াল করেছেন দু দিন পর।

আদালতের এই ধরনের সিদ্ধান্তকে অবশ্য মেনে নিতে পারছেন না মামলাকারীর আইনজীবী আয়েশা ভারড্যাগ। তার মতে, আদালত এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। মামলার কাগজপত্রে কিছু ভুল থাকার কারণেই গোটা বিষয়টি হয়েছে। ভুলগুলি নিয়ে যখন আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়, তখন আদালতের উচিত সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া।

একইসঙ্গে মামলাকারী আইনজীবী জানান, অনলাইন সিস্টেমে গলতি থাকার কারণেই এই ভুল হয়েছে। আশা করছি, উচ্চ আদালতে মামলাটি আপিল করা হলেই গোটা বিষয়টির নিষ্পত্তি ঘটবে। এভাবে অনলাইন সিস্টেমে ভুলবশত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হতে পারে না।