এ জে মোহাম্মদ আলী ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয়: সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি

এ জে মোহাম্মদ আলী ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয়: সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সুপ্রিম কোর্টের এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর মৃত্যুতে আইন অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা ২০ মিনিটে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন এ জে মোহাম্মদ আলী।

এ জে মোহাম্মদ আলীর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে রেখেছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ জে মোহাম্মদ আলী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন। ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেলও।

চিকিৎসার জন্য গত ২৮ এপ্রিল সকালে বাংলাদেশ ছাড়েন এ জে মোহাম্মদ আলী। তাঁর মরদেহ আগামীকাল শুক্রবার ঢাকায় পৌঁছাবে।

আইন অঙ্গনে শোকের ছায়া

এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

শোক জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

শোকাবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন।

শোকাবার্তায় বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক সদস্য ও বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল সিনিয়র আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে আইন জগতে দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন।

একজন আইনজীবী হিসেবে তিনি ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয়। তিনি অত্যন্ত গুণী, নির্লোভ এবং নির্মোহ একজন ব্যক্তি ছিলেন। আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। আইন অঙ্গনে তাঁর অবদান জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

শোক প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও বার কাউন্সিলের সদস্য ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তিনি বলেন, স্যারের মৃত্যুতে দেশের আইনাঙ্গণে যে শূণ্যতা সৃষ্টি হলো তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। আমি স্যারের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।

এছাড়াও শত শত আইনজীবী তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ জে মোহাম্মদ আলীর সাথে তোলা ছবি পোস্ট করে সহকর্মীরা স্মরণ করেছেন তাঁর সাথে থাকা স্মৃতি।

সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

এ জে মোহাম্মদ আলী ১৯৮০ সালে হাইকোর্ট বিভাগের এবং ১৯৮৫ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০১ সালের অক্টোবরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান এ জে মোহাম্মদ আলী। পরে তিনি দেশের দ্বাদশ অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে ২০০৭ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

২০১৩-১৪ মেয়াদে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এ জে মোহাম্মদ আলী।

জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবীর বাবা এম এইচ খন্দকার। তিনি ছিলেন দেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল।