মো. আরিফ হুসাইন: বর্তমান সময়ের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ব্যবসায়িক লেনদেনের অন্যতম মাধ্যম হলো চেক। যার ব্যবহার আমারা প্রাত্যহিক জীবনেও সচরাচর করে থাকি। বর্তমানে চেকের ব্যবহার যেরূপ বৃদ্ধি পেয়েছে অনুরূপভাবে প্রায়সই আমরা শুনে থাকি যে চেক ডিজঅনার হয়েছে। চেক ডিজঅনার সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় নিস্পত্তি হয় হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন-১৮৮১ [The Negotiable Instruments Act-1881], ফৌজদারি কার্যবিধি-১৮৯৮ ও তামাদি আইন-১৯০৮ এর প্রদত্ত বিধান অনুযায়ী। চেক ডিজঅনার সংক্রান্ত সকল বিষয় আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানার চেষ্টা করব।
চেক বলতে কি বুঝায়?
হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন-১৮৮১ এর ৬ ধারা অনুযায়ী “চেক হলো নির্দিষ্ট ব্যাংকের উপর নির্দেশিত একটি বিনিময় বিল যা পরিশোধের জন্য উপস্থাপিত হলেই কেবল পরিশোধযোগ্য হবে” অর্থাৎ চেক হল এমন একটি হস্তান্তরযোগ্য দলিল যার মাধ্যমে ব্যাংকের আমানতকারি লিখিত ও শর্তহীনভাবে ব্যাংক-কে চেকের বাহককে নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ প্রদানের নির্দেশ প্রদান করে থাকে এবং তা উপস্থাপিত হলে ব্যাংক আইনত অর্থ পরিশোধে বাধ্য থাকে।
চেকের প্রকারভেদ
চেক প্রধাণত দুই প্রকারের হয়ে থাকে-
ক. বাহক চেক বা Bearer Cheque: বাহক চেক ব্যাংকে উপস্থাপনের মাধ্যমে যেকোন লোক টাকা সংগ্রহ করতে পারে।
খ. আদেশ চেক বা Order Cheque: আদেশ চেকের মাধ্যমে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে বা আদেশ অনুসারে অপর কোন ব্যক্তিকে অর্থ প্রদানের জন্য ব্যাংকের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়।
বাহক ও আদেশ চেক-কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে-
১. খোলা চেক বা Open Cheque
২. দাগকাটা চেক বা Crossed Cheque। সাধারণত এধরণের চেকের উপরে আড়াআড়ি দু’টো দাগ কাটা থাকে এবং এধরণের চেকের পেমেন্ট সরাসরি কাউণ্টারে না হয়ে কোন ব্যাংকের একাউন্টে প্রদানের মাধ্যমে হয়ে থাকে।
চেক কখন ডিজঅনার হয়?
একটি চেক বিভিন্ন কারণে ডিজঅনার হতে পারে। যেমনঃ একাউন্টে চেক উল্লেখিত পরিমাণ টাকা না থাকা, স্বাক্ষরের গরমিল, চেকে উল্লেখিত অর্থের অংক ও কথার মিল না থাকা, চেকের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে, চেক পোস্টডেটেড হলে, চেকদাতা কর্তৃক অর্থ পরিশোষধে নিষেধ করা হলে, চেকে কাটাকাটি বা ঘষামাজা থাকলে বা একাউন্ট বন্ধ থাকলে ইত্যাদি কারণে চেক ডিজঅনার হয়ে থাকে।
সহজ ভাষায় বলতে গেলে, চেকের সংজ্ঞা অনুযায়ী চেক ব্যাংকে উপস্থাপিত হওয়ার পর যেখানে অর্থ পরিশোধ করার কথা সেখানে ব্যাংক যখন কোন চেক অনার না করে অর্থাৎ অর্থ পরিশোধ না করেই ফেরত দেয় তখন তাকে চেক ডিজঅনার বলে। তবে আমদের দেশের ব্যাংক গুলো প্রধাণতঃ দু’টি কারণে রিটার্ণ মেমো প্রদানের মাধ্যমে চেক ডিজঅনার করে থাকেন। যথাঃ
১. অপর্যাপ্ত তহবিল ও
২. স্বাক্ষরের ভিন্নতা।
একটি চেক নগদায়নের জন্য ব্যাংকে উপস্থাপনের সময়সীমা
হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন-১৮৮১ এর ১৩৮ ধারা অনুযায়ী, চেক ইস্যু হওয়ার তারিখ হতে ৬ মাসের মধ্যে অথবা চেকের বৈধতা বিদ্যমান থাকাকালীন সময়ের মাঝে যেটা আগে ঘটে সে-সময়ের মধ্যে চেক নগদায়নের জন্য ব্যাংকে উপস্থাপন করতে হবে।
চেক ডিজঅনার হলে করণীয়
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চেক ব্যাংকে উপস্থাপনের পরে যদি চেকটি ডিজঅনার হয় তখন ব্যাংক চেক ডিজঅনারের একটি রিটার্ণ মেমো প্রদান করে থাকে। চেক ডিসঅনার হলেই সরাসরি মামলা দায়ের করা যায় না। চেক ডিজঅনার হওয়ার পরবর্তী ধাপগুলো নিম্নরূপ-
নোটিশ প্রদান
চেক ডিজঅনার হওয়ার তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্যে উল্লেখিত টাকা ফেরত দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বরাবর লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করতে হবে। উল্লেখ্য যে, কোন চেক যদি একাধিকবার উপস্থাপনে পর ডিজঅনার হয় তাহলে সর্বশেষ ডিজঅনার হওয়ার তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্যে নোটিশ দিতে হবে। তবে চেক ডিজঅনারের জন্য কোন চেক ব্যাংকে একাধিকবার উপস্থাপনের কোন বাধ্যবাধ্যকত নেই। নোটিশে উল্লেখিত টাকা প্রদানের জন্য নোটিশ-গ্রহীতা ৩০ দিন সময় পাবেন (হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন-১৮৮১ এর ১৩৮ ধারা)।
নোটিশে যে সকল বিষয় উল্লেখ থাকা বাঞ্চনীয়
নোটিশে মুসাবিদাকারী অ্যাডভোকেট, চেক গ্রহীতা তথা বাদী ও চেক দাতার তথা বিবাদীর নাম ও ঠিকানা, পাওনা টাকার পরিমাণ, চেক নাম্বার ও প্রদানের তারিখ, চেক নগদায়নের জন্য ব্যাংকে জমা দেয়ার তারিখ ও ব্যাংকের নাম, চেক ডিজঅনার হওয়ার তারিখ ও কারণ, ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ, আইনজীবীর স্বাক্ষর, তারিখ ও সীলমোহর থাকবে।
হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন ১৮৮১ এর ১৩৮ ধারা অনুযায়ী নোটিশ ৩টি উপায়ে জারি করা যেতে পারে। যথাঃ
ক. ব্যাক্তিগতভাবে যার বরাবর নোটিশ প্রদান করা হয় তার উপর জারি করে।
খ. নোটিশ গ্রহীতা যেখানে নিয়মিত বসবাস বা ব্যবসা করেন সেই ঠিকানায় প্রাপ্তিস্বীকার পত্রসহ রেজিস্ট্রি ডাকযোগে প্রেরণ করে।
গ. বহুল প্রচারিত একটি জাতীয় বাংলা দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশের মাধ্যমে।
কখন চেক ডিজঅনারের মামলার কারণ উদ্ভব হয়
যেকোন মামলা দায়েরের প্রধাণ শর্ত হলো মামলার কারণ তথা Cause of Action থাকা। চেক ডিজঅনারের মামলার কারণ কখন উদ্ভব হয় তা হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন-১৮৮১ এর ১৩৮(১)সি ও ১৪১বি ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে- চেক দাতা নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে চেকে উল্লেখিত পাওনা টাকা চেক গ্রহীতাকে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী ১ মাসের মধ্যে মামলা দায়েরের কারণ উদ্ভব হয়েছে বলে গণ্য হবে। অর্থাৎ একটি চেক ডিজঅনার হওয়ার সাথে সাথেই মামলা করা যায় না এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করতে হয়। সুতরাং ১৩৮(১)বি, ১৩৮(১)সি ও ১৪১বি ধারা অনুযায়ী চেক ডিজঅনারের মামলা দায়ের করার জন্য মামলার বাদী বা চেক গ্রহীতা চেক ডিজঅনার হওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ ৯০দিন পর্যন্ত সময় পেয়ে থাকেন।
চেক ডিজঅনারের মামলা কোথায় করতে হয়
চেক ডিজঅনারের মামলা আধা দেওয়ানী ও আধা ফৌজদারি (Quasi Criminal & Quasi Civil) প্রকৃতির হলেও এধরণের মামলা হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন-১৮৮১ এর ১৩৮ ধারার অধীনে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি-১৮৯৮ অনুযায়ী সি.আর (Complaint Case) মামলার অনুরূপভাবে দায়ের করতে হয় তবে এধরণের মামলা থানায় করা যায় না। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০ ধারার অধীনে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট চেক ডিজঅনারের মামলা আমলে নিয়ে থাকেন।
আঞ্চলিক এখতিয়ার নির্ধারণ
চেক যে আদালতের আঞ্চলিক এখতিয়ারভুক্ত ব্যাংকের শাখায় ডিজঅনার হয়ে থাকে সেই এখতিয়ারভুক্ত আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে।
চেক ডিজঅনারের মামলায় যেসকল ডকুমেন্টস প্রদান বাঞ্চনীয়
ডিসঅনারকৃত চেকটি, ডিজঅনার সংক্রান্ত ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত রিটার্ণ স্লিপ, নোটিশের কপি ও ডাক রশিদ প্রাপ্তি রশিদ বা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির কপি, অন্যান্য কাগজপত্র যা আদালত কর্তৃক পরিদর্শনের জন্য প্রয়োজন।
চেক ডিজঅনার মামলার বিচারিক আদালত
এধরণের মামলা আমলে নেয়ার ক্ষমতা বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের থাকলেও বর্তমানে চেক ডিজঅনারের মামলার বিচার করার ক্ষমতা শুধুমাত্র যুগ্ন দায়রা জজ আদালতের।
উল্লেখ্য চেক ডিজঅনারের মামলা জামিনযোগ্য বা আপোষযোগ্য কিনা
এ-ব্যাপারে হস্তান্তরযোগ্য দলিলি আইন-১৮৮১ এ সরাসরি কোন কথা বলা নাই। তবে উচ্চ আদালত বিভিন্ন মামলায় আপোষে নিস্পত্তি করার পক্ষে মত দিয়েছেন [Ferozuddin Vs. Ehsan Re-Rolling Mill Ltd. (Criminal) 15 BLC (HCD) Page-384]। অন্যদিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ২য় তফসিলের শেষ অধ্যায়ে দণ্ডবিধি ব্যতিত অন্যান্য আইনবিরোধী অপরাধের ক্ষেত্রে শাস্তির পরিমাণ ৩ বছরের কম কারদণ্ডে দণ্ডনীয় হলে সেক্ষেত্রে উক্ত অপরাধ-কে জামিনযোগ্য বলা হয়েছে বিধায় এধরণের মামলা-কে আদালত জামিনযোগ্য হিসেবে জামিন মঞ্জুর করে থাকেন।
চেক ডিজঅনার মামলার শাস্তি
হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন-১৮৮১ এর ১৩৮ ধারা অনুযায়ী আদালত চেক ডিসঅনারের মামলায় সর্বোচ্চ ১ বছরের কারাদণ্ড বা চেকে বর্ণিত টাকার ৩ গুণ জরিমানা বা উভয় দণ্ড প্রদান করতে পারেন।
আপীল
চেক ডিজঅনারের মামলায় আপীল দায়ের করতে হবে দায়রা জজ আদালতে এবং সেক্ষেত্রে আপীল দায়েরের পুর্বে রায়প্রদানকারী আদালতে আসামী চেকে বর্ণিত টাকার ৫০% টাকা জমা দিবেন।
চেক ডিসঅনারের মামলায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নের উত্তর
১. কেউ কোন চেক দান করলে সেই চেক ডিজঅনার হলে ১৩৮ ধারার অধীনে মামলা করা যাবে কি?
হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন-১৮৮১ এর ৬, ৪৩, ৫৮ এবং ১১৮-১২২ ধারার বিধান একত্রে বিবেচনা করলে বলা যায় যে, যেহেতু দানে কোন প্রতিদান থাকে না তাই দান হিসেবে প্রদত্ত চেক ডিজঅনার হয়ে থাকলে সেই চেক দিয়ে মামলা দায়ের করলে আইনগত প্রতিকার পাওয়া সম্ভব নয়। [United Ink and Varnish Co. Ltd. Vs. State 2001(2) All Inida Criminal Law LR(Delhi) 502]
২. চেকদাতা বরাবর নোটিশ ইস্যু করার পর পুনরায় সংশোধিত নোটিশ পাঠানো যাবে কি?
সাধারণত নোটিশ ইস্যু হওয়ার পর তা আর সংশোধনের সুযোগ নেই তবে করণিক ভুলের ক্ষেত্রে যেমনঃ চেক নাম্বার, ঠিকানা ইত্যাদি ভুল হলে পুনরায় নোটিশ দেয়া যেতে পারে তবে সেক্ষেত্রে প্রথমবার নোটিশ প্রেরণের তারিখ থেকে তামাদির মেয়াদ গণনা শুরু হবে।
৩. দাতা চেকে স্বাক্ষর ব্যতিত অন্যান্য আবশ্যক বিষয় অন্য কেউ পূরণ করলে কি তা জালিয়াতি হবে কিংবা মামলা দায়েরে বাধা হবে?
স্বাক্ষর ব্যতিত অন্যান্য বিষয় দাতা কর্তৃক পূরণ করতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই এবং তা জালিয়াতি বলে গণ্য হবে না। [Surzalkshmi Cotton Mills Vs. Rajvir Industries Ltd., 2008(1) All Inida Criminal LR (S.C.) 819]
৪. চেক ডিজঅনারের মামলার পাশাপাশি দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় মামলা করা যাবে কি?
এন.আই.এক্ট-এর ১৩৮ ধারার মামলার পাশাপাশি দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় মামলা দায়ের করা যাবে। এক্ষেত্রে উভয় আইনের অধীনে মামলা দায়েরে আইনত কোন বিধিনিষেধ নাই। [Abul Khair Chandu Vs. The State (Criminal) 65 DLR (HCD) 2013]
৫. চেক ডিজঅনারের মামলার পাশাপাশি অন্য কোন দেওয়ানি মোকদ্দমা বা অর্থঋণ আইনে মোকদ্দমা করা যাবে কি?
দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা ভিন্ন বিষয় এবং প্রত্যেক মামলা তার নিজস্ব পদ্ধতি-তে চলবে তাই একই সাথে দেওয়ানি মোকদ্দমা চলাতে আইনত কোন বাধা নেই। [S M Emdadul Hossain (Bulbul) Vs Jinnur Hossain]
৬. চেক ডিজঅনারের মামলায় অভিযোগকারী বা আসামীর মৃত্যুর ফলাফল কি?
চেক ডিজঅনারের মামলা চলাকালীন আসামীর মৃত্যু হলে মামল আইনত অচল হয়ে পড়ে কিন্তু অভিযোগকারী বা বাদীর মৃত্যুতে মামলা অচল হয় না বরং উত্তরাধিকারীগণ পক্ষভুক্ত হয়ে মামলা পরিচালনা করতে পারেন।
৭. চেক চুরি বা হারিয়ে গেলে কি ধরণের ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ?
তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাঃ অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি করবেন এবং উক্ত জিডির সত্যায়িত এক কপি চেক ইস্যুকারী সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখায় জমা দিয়ে বিষয়টি অবগত করবেন।
আইনগত ব্যবস্থাঃ চেক উদ্ধারের জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৯৮ ধারার বিধান মোতাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরবার দরখাস্ত দায়ের করা যাবে। এছাড়াও চুরির ক্ষেত্রে দণ্ডবিধির ৩৭৯ ধারায় ফৌজদারি মামলা দায়ের করা যাবে।
৮. ব্ল্যাংক চেক দিয়ে এন.আই.এক্ট-১৮৮১ এর অধীনে চেক ডিসঅনারের মামলা করা যায় কি?
ব্ল্যাংক চেক দিয়ে মামলা দায়েরে কোন আইনগত বাধা নেই। তবে এরূপ চেক প্রমাণ করতে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
লেখক: প্রভাষক, গাজীপুর সেন্ট্রাল ল’ কলেজ।