খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
মৌলভীবাজার জেলা সফরের অংশ হিসেবে শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় মৌলভীবাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রে শ্রীমঙ্গলের রাজঘাট চা বাগানে বিলুপ্তপ্রায় খাড়িয়া ভাষায় কথা বলা শেষ দুই ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সরকারকে এ আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রভাষা বাংলা, কিন্তু অনেকের মাতৃভাষা ভিন্ন। ইতোমধ্যে সরকারের তরফ থেকে খাড়িয়া ভাষা রক্ষায় কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাতে আরও জোরারোপ করা প্রয়োজন।
ভারতের যে সকল অঞ্চলে এ ভাষার প্রচলন আছে, সেখানে যোগাযোগ স্থাপন করে খাড়িয়া বর্ণমালা প্রচলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে এ ভাষার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান বিচারপতি।
খাড়িয়া ভাষায় কথা বলা মাত্র দুই জন ব্যক্তি অবশিষ্ট আছেন বাংলাদেশে, যাঁরা সম্পর্কে দুই বোন। এঁদের নাম ক্রিস্টিনা কেরকেট্টা ও ভেরোনিকা কেরকেট্টা। ভারতের রাঁচি থেকে তাঁদের বাবা মা বাংলাদেশে এসেছিলেন। ভারতের ঝাড়খণ্ড এবং উড়িষ্যায় খাড়িয়া ভাষার প্রচলন আছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় কুশিয়ারা আন্তর্জাতিক কনভেনশন হলে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় দেওয়া বক্তৃতায়ও খাড়িয়া ভাষা ও নাগরী লিপি সংরক্ষণের আহ্বান জানান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।