শিশুর ডিএনএ পরীক্ষায় মিললো ধর্ষণের সত্যতা, কারাগারে আইনজীবী
কারাগার (প্রতীকী ছবি)

প্রেমিকার আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া আসামিকে পুলিশে দিলেন হাইকোর্ট

প্রেমিকার আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় এক আসামিকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন হাইকোর্ট।

উচ্চ আদালতে আগাম জামিন নিতে এলে বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামির জামিন না মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

ওই আসামির নাম পলাশ মিয়া। তিনি ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার মনিয়ন্দ গ্রামের বাসিন্দা।

এদিন আদালতে আসামির জামিনের জন্য আইনজীবী বার বার আবেদন করলে হাইকোর্ট বলেন, একটি মেয়ের সঙ্গে একটি ছেলে প্রেমের সম্পর্ক থাকতেই পারে। কিন্তু সেই সম্পর্কের সরলতার সুযোগে গোপনে আপত্তিকর ছবি তোলা ও ভিডিও ধারণ করা এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া গুরুতর ও জঘন্য অপরাধ। এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নাই।

আরও পড়ুন: নারী-শিশু মামলায় ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে বাদী

আদালত বলেন, আমরা ইদানিং প্রায়শই লক্ষ্য করছি এ ধরনের ঘটনায় মামলা হচ্ছে। এসব মামলায় অভিযুক্তরা জামিনের জন্য আদালতে আসছেন। এ ধরনের অভিযুক্তদের জামিন বিবেচনার ক্ষেত্রে আদালতের নমনীয় মনোভাব দেখানোর কোনো সুযোগ নাই। এসব অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।

এরপরই সুপ্রিম কোর্টের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যদের ডেকে তাদের হাতে পলাশ মিয়াকে তুলে দেন হাইকোর্ট।

ভিকটিমের মা বাদী হয়ে গত বছরের ২০ নভেম্বর আখাউড়া থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(১)(২)(৩)(৭) ধারায় মামলা করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয় যে, মোবাইলের মাধ্যমে অজ্ঞাতসারে পর্নো ছবি ধারণ, সংরক্ষণ, সরবরাহ করে একাধিক নামে ফেসবুক আইডি দ্বারা পর্নো ছবি প্রচার, প্রকাশ করে সামাজিক মর্যাদাহানি, মানসিক নির্যাতন ও সহায়তা করার অপরাধ সংঘটন করা হয়েছে। গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ নভেম্বরের মধ্যে এসব অপরাধ সংঘটন করেছেন আসামি পলাশ মিয়া।

আরও পড়ুন: নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক হলেন বিচারক আল মামুন

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অসৎ উদ্দেশ্যে ভিকটিমের সরলতার সুযোগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পর্নোছবি উত্তোলন করে আসামি। পরবর্তীকালে এসব ছবি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে নানা কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। এসব প্রস্তাব দেওয়ার পর ভিকটিম আসামির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপর ভিকটিমের বিয়ে হলে একদিন আসামি ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমের স্বামীকে এসব ধারণকৃত ছবি ও ভিডিও প্রদর্শন করে। পরবর্তীকালে আত্মীয়-স্বজনের কাছেও এসব ছবি ও ভিডিও পাঠায় আসামি।

এই মামলায় হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান আসামি।

আদালতে আসামি পক্ষে আইনজীবী ফজলুর রহমান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কেএম মাসুদ রুমি শুনানি করেন।