সাধারণত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় বাদী নিজস্ব কোনো আইনজীবী নিয়োগের প্রয়োজন হয়না। কেননা ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯২ ধারা অনুযায়ী তিনি সরকারের পক্ষ থেকে আইনজীবী পেয়ে থাকেন। তবে বাদী যদি নিজে আইনজীবী নিয়োগ দিতে চান সে ক্ষেত্রে আইনগত কোন বাধা নেই।
সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে বিষয়টি স্পষ্টকরণে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) এসকে. এম তোফায়েল হাসান সই করা বিজ্ঞপ্তি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক হলেন বিচারক আল মামুন
বিজ্ঞপ্তির ভাষ্য মতে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারী/ভিকটিমের পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পক্ষগণ বিভিন্ন সমস্যা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন আইন, ২০০০ এর ২৫ ধারায় বর্ণিত বিধানাবলী মোতাবেক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে কোনো অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির বিধানাবলী প্রযোজ্য হয় এবং ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারীর পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী ব্যক্তি পাবলিক প্রসিকিউটর বলে গণ্য হন।
আরও পড়ুন: প্রতিটি মৃত ব্যক্তির আত্মা বিচার চায়: রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক
ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৩ এবং ৪৯৫ ধারায় বর্ণিত বিধানাবলী অনুসরণপূর্বক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারী/ভিকটিমের পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী নিযুক্ত করে মামলা পরিচালনা করার সুযোগ আছে।
ফলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারী/ভিকটিম ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৩ এবং ৪৯৫ ধারায় বর্ণিত বিধানাবলী অনুসরণপূর্বক তাঁর/তাঁদের পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী নিযুক্ত করে মামলা পরিচালনা করতে পারবেন মর্মে বিষয়টি এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্পষ্ট করা হলো।