আইনের ডিগ্রি অর্জন করলেই আমার পড়ালেখা শেষ হয়ে গেছে, আর পড়ালেখা করতে হবে না, এ ধারণা একেবারেই ভুল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার।
আইনের শিক্ষার্থীদের সংগঠন নিলস বাংলাদেশ ও নিলস চিটাগং ইউনিভার্সিটি চ্যাপ্টার’র বার্ষিক সাধারণ সভায় এমন মন্তব্য করেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি নাইমা হায়দার। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্ণফুলী অডিটোরিয়ামে শনিবার (১১ মে) বেলা সাড়ে ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত সংগঠনটির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
চবি আইন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও নিলস সিইউ চ্যাপ্টারের উপদেষ্টা এবং চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ বি এম আবু নোমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী এবং চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি নাইমা হায়দার বলেন, আইনের ডিগ্রি অর্জন করলেই আমার পড়ালেখা শেষ হয়ে গেছে, আর পড়ালেখা করতে হবে না, এ ধারণা একেবারেই ভুল। আইন পেশায় নিয়োজিত হওয়ার পরও প্রতিদিনই শিখতে হবে, নতুন কিছু জানতে হবে। কারণ সবকিছু পরিবর্তন হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমি যখন নারী দিবসের কোনো অনুষ্ঠানে যাই, তখন শ্রোতারা বোধহয় মনে করেন আমি যাতে নারীদের নিয়ে কিছু কথা বলি। আমি একজন বিচারপতি, কিন্তু আমাকে নারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আমি কিন্তু সেটা করি না। আমার কাছে নারী বলতে কোনো কিছুই নেই।
বিচারপতি নাইমা হায়দার বলেন, আমি মনে করি, আমি একজন মানুষ, নারী নই। আমি একজন জজ হিসেবেই এখানে আছি। আর এখানে আমি অনেক বিচারপতির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই টিকে আছি। সুতরাং এখানে নারী বলতে কোনো কিছু নেই। আমি সব মেয়েদের জন্যই একথা বলছি।
সভায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, আগে আইনের ছাত্ররাই রাজনীতি করতেন। আইনের ছাত্ররাই মানবাধিকার, মানুষের মুক্তির জন্য লড়াইয়ে অগ্রভাগে থাকতেন। কিন্তু এখন ধনকুবেরা রাজনীতি করে। রাজনীতি যদি এ পথে থাকে, মানুষের মুক্তি আসবে না। যেখানে আইন নেই, বিচার নেই, সেখানে মুক্তি আসবে না।