জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
দণ্ডিত তিথি সরকার

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাঁকে এক বছরের জন্য প্রবেশনে রাখা হবে।

আজ সোমবার (১৩ মে) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত এ রায় দেন।

ওই ট্রাইব্যুনালের স্টেনোগ্রাফার মামুন শিকদার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামি তিথি সরকার দোষ স্বীকার করে প্রবেশনে দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেন। আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে এক বছরের জন্য প্রবেশনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন।

তিথি সরকারকে প্রবেশনে দেওয়ার আদেশে বলা হয়েছে, আসামি এক বছর প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবেন। সামাজিক নিয়মকানুন, প্রথা ও রীতিনীতি মেনে চলবেন।

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে শিক্ষার্থী তিথি সরকারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর পল্টন থানায় ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ১৯ মে আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। আদালত তাঁর বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করেন।

কোনো অপরাধীকে প্রাপ্য শাস্তি না দিয়ে (স্থগিত রেখে), কারাবন্দী না রেখে বা কোনো প্রতিষ্ঠানে আবদ্ধ না করে সমাজে খাপ খাইয়ে চলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে ‘প্রবেশন’। এ ব্যবস্থায় আদালতের নির্দেশে প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে এবং শর্ত সাপেক্ষে পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ পান আবেদনকারী। প্রবেশন কর্মকর্তার পদটি সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীন।

প্রবেশন আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী, পুরুষ আসামিরা মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত না হলে প্রবেশন পেতে পারেন। আর নারী আসামিরা মৃত্যুদণ্ড বাদে যেকোনো দণ্ডের ক্ষেত্রে পেতে পারেন প্রবেশন।

প্রবেশন দেওয়ার শর্তের মধ্যে সাধারণত মুক্তিযুদ্ধের বই পড়া, বৃক্ষরোপণ, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা, মাদকবিরোধী শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ, প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো আচরণ, বিনা মূল্যে গান শেখানো, এতিমদের খাবার সরবরাহ, সৎভাবে জীবনযাপন ও মা-বাবার সেবা করার মতো কাজ করতে বলা হয়ে থাকে।