নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের শপথ ২৬ সেপ্টেম্বর
নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সফরে যাচ্ছেন প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের ১৩ বিচারক

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ৩ দিনের সফরে সস্ত্রীক চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সফরে যাচ্ছেন। একইসাথে সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের আরো ১২ জন বিচারপতি, রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সুপ্রীম কোর্ট প্রশাসনের আরো ৪ জন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা একইসময়ে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সফরে যাচ্ছেন।

সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান প্রেরিত এক সফরসূচিতে এ তথ্য জানা গেছে।

একসাথে প্রধান বিচারপতি সহ ১৩ জন বিচারপতি, রেজিস্ট্রার জেনারেল সহ ৫ জন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার একত্রে কোন মফস্বল জেলায় সফর দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে একটা নতুন রেকর্ড বলে জানিয়েছেন বিশ্বস্ত সূত্র।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আগামী বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিমানযোগে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাবেন। একইদিন বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের কনফারেন্স রুমে চট্টগ্রাম জেলার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি অভিভাষণ প্রদান করবেন।

একইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির অডিটরিয়ামে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন। সেখান থেকে ফিরে বৃহস্পতিবার তিনি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন করবেন।

আরও পড়ুন: কনডেম সেলে বন্দি রাখা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে সরকার

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আগামী শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ৯টায় সড়কপথে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবেন। কক্সবাজার পৌঁছে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান একইদিন বিকেল সাড়ে ৩ টায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শীলখালী বীচ সংলগ্ন “বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট” নির্মাণের এর জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করবেন।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০ টায় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার “ন্যায়কুঞ্জ” এর ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করবেন। একইদিন সকাল সাড়ে ১০ টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজার জেলার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি অভিভাষণ প্রদান করবেন। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ২ দিনের কক্সবাজার সফর শেষে একইদিন বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে বিমানযোগে কক্সবাজার ত্যাগ করবেন বলে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আপীল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান প্রেরিত সফরসূচিতে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৩ কোটি টাকার ইয়াবা পাচারের মামলায় ৭ রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ছাড়াও এই সফরে আরো যাঁরা আসছেন, তাঁরা হলেন- বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, আপীল বিভাগের বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলাম, আপীল বিভাগের সদ্য সাবেক বিচারপতি বোরহানউদ্দিন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাঈমা হায়দার, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোঃ হাবিবুল গণি, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জে.বি.এম হাসান, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাফর আহমেদ, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোঃ ইকবাল করিম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস.এম কুদ্দুস জামান, সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ গোলাম রব্বানী, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুনসী মোঃ মশিয়ার রহমান, আপীল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, প্রধান বিচারপতির রিসার্চ এন্ড রেফারেন্স অফিসার মুহাম্মদ সরওয়ার আলম ও প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব হাসান মোঃ আরিফুর রহমান। তারমধ্যে, সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, আপীল বিভাগের বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলাম, আপীল বিভাগের সদ্য সাবেক বিচারপতি বোরহানউদ্দিন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাঈমা হায়দার, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাফর আহমেদ, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোঃ ইকবাল করিম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস.এম কুদ্দুস জামান একদিন আগে অর্থাৎ আগামী বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কক্সবাজার আসবেন।

কক্সবাজারে একসাথে প্রধান বিচারপতি সহ ১৩ জন বিচারপতি, রেজিস্ট্রার জেনারেল সহ ৫ জন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সফর উপলক্ষে জেলা বিচার বিভাগ প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন, জেলা জজ আদালতের জেলা নাজির বেদারুল আলম। তিনি এ বিষয়ে জেলা বিচার বিভাগের পক্ষে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।