সমিতির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আহসান উদ্দিন প্রধান, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সরকার ও কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমানসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১৫ মে) অ্যাডহক কমিটির সদস্য সচিব ও বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতান উদ্দিন গাজীপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
এর আগে চলতি বছরের মার্চ মাসে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আহসান উদ্দিন প্রধান, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সরকার ও কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমানকে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি ও সমিতির শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
সমিতির বিশেষ সাধারণ সভায় সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অ্যাডহক কমিটির ১নং সদস্য ও বারের সাবেক সভাপতি নূরুল আমীনের সভাপতিত্বে সমিতির হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুর বারের সাবেক সভাপতি-সম্পাদকসহ ৩ আইনজীবীকে বহিষ্কার
সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ২৪ মার্চের মধ্যে সাবেক ওই তিন কর্মকর্তাকে সমিতির আত্মসাৎকৃত অর্থ ফেরত প্রদানসহ শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের জবাব প্রদানের জন্য বলা হয়। অন্যথায় স্থায়ী বহিষ্কারসহ তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত হয়।
সমিতির সদস্যরা জানান, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০ দিন আগে এজিএম (বার্ষিক সাধারণ সভা) ও নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করার কথা থাকলেও বিগত কমিটি এক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়।
গত ৭ মার্চ বিগত কমিটির মেয়াদ শেষ হয়; কিন্তু আলোচিত তিন কর্মকর্তা নিজেদের অনিয়ম-দুর্নীতির দায় এড়াতেই যথাসময়ে বার্ষিক সাধারণ সভা ও পরবর্তী কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া গ্রহণে নানা টালবাহানার আশ্রয় নেন। এতে সমিতি সাংবিধানিক সংকটের মুখে পড়ে।
এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সমিতির সদস্যদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে গত ১১ মার্চ একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর বিগত কমিটির ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পায়। ফলে এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের জন্য বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়।
মামলার বিষয়টি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করে অ্যাডহক কমিটির সদস্য সচিব গাজীপুর বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতান উদ্দিন বলেন, বারের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ড, অর্থ তছরুপ ও আরও বিবিধ অনিয়ম তথা সমিতির স্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বিগত কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। আত্মসাৎকৃত অর্থ ফেরত ও উপযুক্ত জবাব না পেয়ে আজ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার অংশ হিসেবে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।