বিচারকের সংখ্যা বাড়ানোর সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
সংসদীয় কমিটি

শ্রম আদালতে মামলার সঙ্গে নিষ্পত্তিও বেড়েছে: প্রতিবেদন

গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে শ্রম আদালতে মামলা দায়ের ও নিষ্পত্তি দুটোই বেড়েছে। এক্ষেত্রে মামলা দায়েরের তুলনায় নিষ্পত্তি প্রায় দেড়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মঙ্গলবার (৮ মে) উপস্থাপিত এক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

কমিটির আগের বৈঠকে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রমের বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়। মঙ্গলবারের বৈঠকে এর অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি শ্রম আপিল ট্র্যাইবুন্যাল ও ১৩টি শ্রম আদালতের মাধ্যমে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮ হাজার ৫২টি মামলা দায়ের করা হয় এবং ৮ হাজার ৪৯৯টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত ৮ হাজার ৮৫৪টি মামলা দায়ের ও ১১ হাজার ২৫৬টি নিষ্পত্তি করা হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরের ১০ মাসেই মামলা দায়ের ও নিষ্পত্তির সংখ্যা বেড়েছে। এক্ষেত্রে নিষ্পত্তি বেড়েছে ৩৩ শতাংশের মতো। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত শ্রম আদালত ও আপিল ট্রাইব্যুনালে ২০ হাজার ৯৩৩টি মামলা অনিষ্পন্ন রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুন: জরিমানা বাড়িয়ে গ্রাম আদালত বিল পাশ সংসদে

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আগের একটি আপিল ট্রাইব্যুন্যাল ও ৭টি শ্রম আদালতের সঙ্গে বর্তমান সরকার আরও ৬টি শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা করেছে। মামলা জট কমানোর জন্য নতুন এই ৬টি আদালতের অধিক্ষেত্র পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৈঠকে জানানো হয়, শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় তহবিলে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯৬ কোটি ১৫ লাখ ১৭ হাজার ২৭০ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এ থেকে ৮ হাজার ৪৮২ জন শ্রমিক ও শ্রমিকের পরিবারকে ৫২ কোটি ৫৮ লাখ ৩৯ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। অফিস ব্যবস্থাপনা বাবদ খরচ এক কোটি ৮৫ লাখ ৫৯৪ টাকা। বিজিএমইএ-কে প্রদান করা হয়েছে ৫ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছর হতে এ পর্যন্ত শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ৩০ হাজার ২৮৫ জনকে ১৪১ কোটি ৬৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫৫ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

বৈঠকে জানানো হয়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত (এক মাসে) ৩৭ হাজার ৭৯২টি পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে গার্মেন্টস ২ হাজার ২৯৩টি, দোকান ১১ হাজার ২১০টি, প্রতিষ্ঠান ৮ হাজার ৯৪টি ও অন্যান্য কারখানা ১৬ হাজার ১৯৫টি। পরিদর্শনকালে প্রাপ্ত অনিয়ম বা ত্রুটি সংশোধন করতে কারখানা কর্তৃপক্ষ অনীহা প্রকাশ করে বলে উল্লেখ করা হয়।

কমিটির সভাপতি এইচ এম ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটি সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, শাজাহান খান, মন্নুজান সুফিয়ান, ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, এস.এম. ব্রহানী সুলতান মামুদ ও মো. আব্দুল্লাহ অংশগ্রহণ করেন।