দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রীক দেবী থেমিসের বিকৃত মূর্তি অপসারণ করে প্রকৃত মূর্তি দিয়ে প্রতিস্থাপন অথবা সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব কোন ভাস্কর্য প্রতিস্থাপন করতে আবেদন জানিয়েছেন এক আইনজীবী।
আজ মঙ্গলবার (২১ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর এ আবেদন জানান।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রীক দেবী থেমিসের যে মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে তা মূর্তি নয়, এটি বিকৃত মূর্তি। মূলত বাংলাদেশি কোন নারীর অবয়বে শাড়ি পরিয়ে একটি বিকৃত মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। গ্রীক দেবী থেমিসের মূর্তি গ্রীসের জাতীয় সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বিশ্বাসের অংশ। এটাকে বিকৃত করার অধিকার আমাদের নেই।
এছাড়া বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৪ অনুযায়ী বিশেষ শৈল্পিক কিংবা ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন বা তাৎপর্যমন্ডিত স্মৃতিনিদর্শন, বস্তু বা স্থান-সমূহকে বিকৃতি, বিনাশ বা অপসারণ হতে রক্ষা করা রাষ্ট্রের কর্তব্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিকৃত মূর্তি স্থাপনের সময় তৎকালীন প্রধান বিচারপতির কাছে থেমিসের এই বিকৃত মূর্তির বিষয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন।
এছাড়াও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের থেমিসের এই বিকৃত মূর্তির বিষয়টি বিদেশি আইনজীবীরা ও আইনের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখেন। বিশেষ করে সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে গ্রীক দেবী থেমিসের বিকৃত মূর্তি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এমতাবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে এই গ্রীক দেবী থেমিসের বিকৃত মূর্তি অপসারণ করে প্রয়োজনে গ্রীস থেকে গ্রীক দেবীর প্রকৃত মূর্তি আমদানি করে প্রতিস্থাপন করা হোক। অথবা প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের জন্য নিজস্ব কোন ভাষ্কর্য তৈরি করতে পারে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। যার মাধ্যমে সাম্যতা, ন্যায় বিচার, শান্তি বুঝাবে এবং সেই ভাষ্কর্য এই থেমিসের বিকৃত মূর্তির স্থানে প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে এই গ্রীক দেবী থেমিসের বিকৃত মূর্তি অপসারণ করে প্রয়োজনে গ্রীস থেকে গ্রীক দেবীর প্রকৃত মূর্তি আমদানি করে প্রতিস্থাপন করা হোক। অথবা প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের জন্য নিজস্ব কোন ভাষ্কর্য তৈরি তা প্রতিস্থাপনের পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।