বাংলাদেশ রেলওয়ের চাকরির নিয়োগে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ও পোষ্য কোটা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ তিনজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
আজ রোববার (২৬ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. রোকনুজ্জামান।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা নির্ধারণ করে বিধিমালা প্রণয়ন করে। তারা তাদের নিজেদের স্বার্থে উক্ত দ্বিধিমালায় বিষয়টি উল্লেখ করে। যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ জুলাই কোটা বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্র ও সংবিধানের ২৭, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি।
রিটকারী আইনজীবী জানান, যারা বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি করছেন তাদের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখা হয়েছে। উক্ত কোটা বণ্টনের ফলে সমাজের নিম্নশ্রেণির তথা দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালক, কৃষকের সরকারি চাকরি প্রত্যাশী সন্তানদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হবে। যা তাদেরকে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে।
কোটা বাতিলের বিষয়ে সঠিক প্রতিকার না পেলে দরখাস্তকারীসহ লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার যুবক চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে বলেও রিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইনজীবী রোকনুজজামান বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সংসদে কোনো কোটাই থাকছে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটার কথা উল্লেখ করা হয়েছে যা বাংলাদেশ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সে কারণে একজন সচেতন নাগরিক এবং একজন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে আমি সংক্ষুব্ধ।
তিনি বলেন, এভাবে বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এজন্য আমি আইনি প্রতিকার চাওয়ার জন্যে রিট করেছি।