মানহানিকর মন্তব্য করার অভিযোগ এনে জনসম্মুখে ক্ষমা চাইতে এবং ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে অভিনেত্রী ফারজানা ইয়াসমিন তমার (তমা মির্জা) আইনি নোটিশের জবাব দিয়েছেন অভিনেত্রী মিষ্টি জান্নাত।
জবাবে তমা মির্জার দেওয়া নোটিশকে অসত্য উল্লেখ করে তা প্রত্যাহার এবং তিন দিনের মধ্যে ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৭ মে) ডাকযোগে তমা মির্জার আইনজীবী বরাবরে এ নোটিশ পাঠান মিষ্টি জান্নাতের আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি।
মিষ্টি জান্নাতের আইনজীবীর ভাষ্য, মানহানির কথা বলে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোন সাক্ষাৎকারে, কোন গণমাধ্যম বা টিভিতে বা কোন সোশ্যাল মিডিয়ায়, তা উল্লেখ করা হয়নি। নির্দিষ্ট কোনো লিংকও দেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় আইনি নোটিশটি প্রত্যাহার করতে হবে। এ ছাড়া নোটিশে সংবাদ সম্মেলনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনের কোনো স্থান ও সময় উল্লেখ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মিষ্টি জান্নাতকে তমা মির্জার আইনি নোটিশ
আইনজীবীর ভাষ্য মতে, এ নোটিশটি অস্পষ্ট ও কল্পনাপ্রসূত, যার কোনো আইনি ভিত্তি নেই। এটির মাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছাড়ানো হয়েছে এবং ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছাপা হয়েছে। এতে মিষ্টি জান্নাতের মানহানি হয়েছে। এ কারণে নোটিশটি প্রত্যাহার ও নোটিশ গ্রহণের তিন দিনের মধ্যে ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অন্যথায় দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে ২৩ মে মানহানিকর মন্তব্য করার অভিযোগ এনে জনসম্মুখে ক্ষমা চাইতে ও ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে অভিনেত্রী মিষ্টি জান্নাতকে আইনি নোটিশ দেন অভিনেত্রী মির্জা ফারজানা ইয়াসমিন তমা (তমা মির্জা)।
রেজিস্ট্রি ডাকযোগে তমা মির্জার পক্ষে এ নোটিশ পাঠান তার আইনজীবী ব্যারিস্টার সজীব মাহমুদ আলম। সাত দিনের সময় দিয়ে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকা দুটি ভিডিও বক্তব্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে– ‘আপনার বয়ফ্রেন্ডকে বিয়ে করব না, তমা মির্জাকে খোঁচা দিয়ে মিষ্টি জান্নাত’ এবং ‘….. নায়িকা হয়েছে তমা মির্জা : জান্নাত’। এই শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে মানহানিকর বক্তব্য আছে বলে দাবি করেন আইনজীবী।
নোটিশে বলা হয়, এসব বক্তব্যে সাংবাদিক ও দেশের জনগণের কাছে তার (তমা মির্জার) সুনাম নষ্ট হয়েছে। এ ধরনের বক্তব্য তমার চরিত্র ও ব্যক্তিত্বে আঘাত হেনেছে। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ডিজিটাল মিডিয়ায় এসব মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। এতে ১০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে।
তাই নোটিশে সাত দিনের মধ্যে জনসম্মুখে ক্ষমা চেয়ে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া পরবর্তীকালে এ ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। অন্যথায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।