বাংলাদেশ ও নেপালের ৪০ জন আইনজীবীকে অ্যাক্রিডিটেড মেডিয়েটর সনদ দিয়েছে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটি (বিমস)।
পাঁচ দিনব্যাপী কর্মশালা শেষে মঙ্গলবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে তাদের হাতে অ্যাক্রিডিটেড মেডিয়েটর সনদ তুলে দেওয়া হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম সনদ তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি, নেপাল সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি ঈশ্বর প্রসাদ খ্যাতিওয়ার্দা, ভারতের জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তাল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আরিফ খান বক্তব্য রাখেন।
সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান।
প্রধান অতিথি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের দেওয়ানি, পারিবারিকসহ বিভিন্ন আইনে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য মেডিয়েশনের সুযোগ রাখা হয়েছে। কিন্তু মেডিয়েশনের জন্য আলাদা কোনো আইন নেই। মেডিয়েশনের জন্য পৃথক আইন হওয়া প্রয়োজন।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বিমসের এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য মেডিয়েটর তৈরি হবে। এই প্রশিক্ষিত মেডিয়েটররা মামলাজট নিরসনে ভূমিকা রাখবে।
নেপালের রাষ্ট্রদূথ ঘনশ্যাম ভান্ডারি বলেন, বাংলাদেশ ও নেপাল বন্ধুপ্রতীম দেশ। আমি বিশ্বাস করি মেডিয়েশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও নেপালের ঐতিহ্য রক্ষা করা সম্ভব। মামলাজট নিরসন করতে একযোগে মেডিয়েশন আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিমসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এন গোস্বামী, বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া মেডিয়েটর্স ফোরামের চেয়ারম্যান জর্জ ভিক্টর, আন্তর্জাতিক মেডিয়েটর কে এস শর্মা, বিমস ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি প্রিয়াংকা চক্রবর্তীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।