সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পদ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে রিট

বেনজীরের জব্দকৃত সম্পদ দেখভালে প্রশাসক নিয়োগ দিলেন আদালত

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের ক্রোক করা স্থাবর সম্পদ দেখভালে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।

পরিবারের অন্য সদস্যরা হলেন – তার স্ত্রী জীশান মির্জা, মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর, তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীর ও জারা জেরিন বিনতে বেনজীর।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের ক্রোক করা স্থাবর সম্পদ দেখভালের জন্য প্রশাসক নিয়োগে আজ আদালতে আবেদন করে দুদক। আদালত শুনানি নিয়ে দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

এছাড়া, গুলশানের চারটি ফ্ল্যাটের সার্বিক অবস্থা জানাতে আজ নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানার পর এসব ফ্ল্যাট দেখভালের জন্য প্রশাসক নিয়োগ দেবেন আদালত বলেও জানান দুদকের এই আইনজীবী।

এর আগে গত ২৩ ও ২৬ মে দুই দফায় ঢাকা, সাভার, গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরের রাজৈরে বেনজীর ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা শত শত একর জমিসহ সম্পত্তি ক্রোক করার নির্দেশ দেন একই আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাধারণভাবে সম্পত্তি দেখভালের জন্য মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক, সাভারের ইউএনও ও গোপালগঞ্জের ডিসিকে প্রশাসক নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে গোপালগঞ্জের মৎস্য খামারের জন্য জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে, তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র‍্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।