দেশে খেলাপী ঋণ আদায়ে অর্থঋণ আদালতকে কার্যকর করার কিছু সুপারিশ
মোঃ জাহিদ হোসেন

দেশে খেলাপী ঋণ আদায়ে অর্থঋণ আদালতকে কার্যকর করার কিছু সুপারিশ

মোঃ জাহিদ হোসেন: খেলাপী ঋণ বিশ্বের প্রায় সব দেশেই কমবেশি হয়। তবে বাংলাদেশের মতো সমসাময়িক অর্থনীতির দেশে লাখ কোটি টাকার ঋণখেলাপী হওয়ার নজির নেই বললেই চলে। খেলাপী ঋণের এ স্ফীতি একদিনে তৈরি হয়নি। দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত এ সমস্যা সঠিকভাবে তদারকির অভাবে ধীরে ধীরে মহীরুহ হয়েছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণ আদায়ের জন্য প্রচলিত আইনের অধিকতর সংশোধন ও সংহতকরণকল্পে প্রণীত আইনানুযায়ী ২০০৩ সালে অর্থঋণ আদালতের যাত্রা। এ আইনের কার্যকারিতাকে দেশের অন্য সব আইনের ওপর প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। খেলাপী ঋণের লাগাম টেনে দেশের আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়েই স্থাপন করা হয়েছিল অর্থঋণ আদালত। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে ব্যাংকিং খাতে খেলাপী ঋণ না কমে উল্টো বহুগুণ বেড়েছে।

আজকের আলোচনায় দেশে খেলাপী ঋণ আদায়ে অর্থঋণ আদালতকে কার্যকর করার কিছু সুপারিশ নীচে তুলে ধরা হল-

০১। অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ডিক্রীর টাকা পরিশোধে বাধ্য করার জন্য আদালত দায়িককে ৬ মাস পর্যন্ত দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখতে পারবে৷ কিন্তু ৩৪(১২) ধারা অনুযায়ী, কোন একজন দায়িককে একবার গ্রেফতার করে পরিপূর্ণ মেয়াদের জন্য দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখা হলে, তাকে পুনরায় গ্রেফতার ও দেওয়ানী কারাগারে আটক করা যাবে না। এক্ষেত্রে আটকাদেশের মেয়াদ শুধু ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বরং খেলাপী ঋণের টাকার পরিমাণ অনুযায়ী তা ৬ মাস হতে ৬ বছর পর্যন্ত বর্ধিত করা যেতে পারে। অন্তত দেওয়ানী কারাগারে আটকাদেশের মেয়াদ বেশি হলে বড় ঋণ খেলাপীরা বাধ্য হয়ে খেলাপি ঋণের টাকা পরিশোধে আরও তৎপর হবে। সেই সাথে দেশে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপী হওয়ার প্রবনতা শুরু থেকেই কমে যাবে।

০২। অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর ধারা ৪৬ অনুযায়ী কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান সম্পাদিত চুক্তি বা চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ঋণ গ্রহীতা হতে ঋণ পরিশোধ সূচী অনুযায়ী ঋণ পরিশোধ শুরু হবার পরবর্তী- (ক) প্রথম এক বত্সরে প্রাপ্য অর্থের অন্যুন ১০%, বা (খ) প্রথম দুই বত্সরে প্রাপ্য অর্থের অন্যুন ১৫%, বা (গ) প্রথম তিন বত্সরে প্রাপ্য অর্থের অন্যুন ২৫% পরিমাণ অর্থ আদায় না হলে, পরবর্তী এক বত্সরের মধ্যে মামলা দায়ের করার বিধান রয়েছে। আর উল্লিখিত ঋণ পরিশোধ সূচী অনুযায়ী ঋণ পরিশোধের নির্ধারিত সাকুল্য মেয়াদ ৩ (তিন) বত্সর অপেক্ষা কম হলে উক্ত নির্ধারিত সাকুল্য মেয়াদের মধ্যে আদায়ের পরিমাণ ২০% অপেক্ষা কম হলে তার পরবর্তী ১ (এক) বত্সরের মধ্যে মামলা দায়ের করার বিধান রয়েছে।

এক্ষেত্রে দেখা যায় এই ধারা অনুযায়ী মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে বিধান করা হলেও যেমন- সিসি (হাইপো) ঋণ অর্থাৎ বছর থেকে বছরে নবায়ন হয় এমন ঋণের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট ভাবে বলা হয়নি। উল্লেখ্য ঋণ পুনঃ তফসিল (Reschedule) এবং ঋণ নবায়ন একই বিষয় নয়। এক্ষেত্রে এমন চলমান ঋণ (Continuous Loan) এর ক্ষেত্রে আইনে সুস্পষ্ট বিধান রাখা উচিত যাতে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সঠিক সময়ে মামলা দায়ের করতে দিক নির্দেশনা পান।

০৩। মামলা চলাকালীন অর্থঋণ আদালতের কোন আদেশ বা ডিক্রীকে চ্যালেঞ্জ করে ঋণগ্রহীতা মহামান্য হাইকোর্টে কোন রিট মামলা দায়ের করলে সেক্ষেত্রে দেখা যায় উক্ত রিট মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিম্ন আদালতে দায়েরকৃত অর্থঋণ বা অর্থজারী মামলা উপর স্থগিতাদেশ আসে। এতে বছরের পর বছর মামলা স্থগিত হয়ে থাকে। এতে একদিকে যেমন আদালতের ঘাড়ে মামলা জট বাড়ে তেমন অন্যদিকে বাদী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপী ঋণ আদায় অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে রিট মামলা দায়েরের সময় ঋণগ্রহীতা যাতে বাদী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ পাওনা টাকার ২০% বা ২৫% টাকা জমা দিয়েই রিট করে তেমন বিধান করা যেতে পারে।

০৪। অর্থঋণ আদালত আইনের অধীনে মামলা দায়ের ও পরিচালনার ক্ষেত্রে বাদী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী সরল বিশ্বাসে কোন কর্ম করে থাকলে, সেক্ষেত্রে দায়মুক্তির ক্ষমতা আদালতের বিবেচনার উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত যাতে মামলা পরিচালনায় তারা অহেতুক হয়রানীর স্বীকার না হন।

০৫। ডিক্রীর টাকা পরিশোধে বাধ্য করার প্রয়াস হিসাবে দায়িককে দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখা ছাড়াও আরও কিভাবে বাধ্য করা যায় সেই বিষয়ে অর্থঋণ আদালত আইনে কিছু বিধান যুক্ত করা যেতে পারে। যেমনঃ পাসপোর্ট জব্দের ক্ষমতা, নতুন ব্যবসা করতে না পারা, কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হতে না পারা, যে কোন লাইসেন্স নিতে না পারার বিধানও এই আইনে সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

০৬। এই আইনে খেলাপী ঋণের দায় সমন্বয়ে বাদী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কি কি দায়-দায়িত্ব থাকবে এবং ঋণগ্রহীতারও কি কি দায়-দায়িত্ব থাকবে সেই মর্মে প্রয়োজনীয় বিধান যুক্ত করা যেতে পারে।

০৭। আইনে ঋণগ্রহীতার উত্তরাধিকারদেরও ঋণ গ্রহীতার মতই সমান দায়ী করে মামলা চালাবার বিধান রাখতে হবে যদি তারা মৃত ঋণগ্রহীতার সম্পত্তি ভোগ করে থাকে। তাই তাদেরও দেওয়ানী আটকাদেশের আওতায় আনাতে হবে। এর অন্যথা হলে উত্তরাধিকারীরা ঋণ পরিশোধে আগ্রহী হবে না।

০৮। বিদ্যমান আইনে অর্থঋণ মামলার জারী পর্যায়ে নিলামের ব্যবস্থা রয়েছে মাত্র। মূল মামলায়ও যাতে উপযুক্ত ক্রেতা পেলে নিলামের মাধ্যমে জামানত বিক্রি করে ঋণের টাকা সমন্বয় করা যায় সেই বিধান করতে হবে। অর্থাৎ মূল মামলা দায়েরের দিন থেকে রায়ের আগ পর্যন্ত নিলাম এর বিধান রাখা হয়।

০৯। খেলাপী ঋণের পরিমাণ ১০ কোটি টাকার বেশি হলে সেসব ক্ষেত্রে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির বিধান রেখে আইন সংশোধন করা যেতে পারে।

১০। অর্থঋণ মূল মামলায় সাক্ষীর পর্যায় সংক্ষিপ্ত রাখার বিধান করা। যেমনঃ বিবাদী যাতে অহেতুক জেরার নামে সময় ক্ষেপন করতে না পারে। জেরার নামে বছরের পর বছর মামলা দীর্ঘায়িত করা হয়।

১১। খেলাপী ঋণের দাবী ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত হলে সেক্ষেত্রে এর বিপরীতে দায়েরকৃত আপিল/রিভিশন মামলা জেলা জজ আদালতে নিষ্পত্তির বিধান করা।

১২। দায়েরকৃত অর্থঋণ মামলায় যদি কোন জামানত না থাকে সেক্ষেত্রে ঋণ খেলাপীর মালিকানাধীন সম্পত্তির ক্রোকের জন্য খুঁজে বের করার দায়িত্ব পুলিশের বিশেষ বা প্রশাসনের অন্য কোন সংস্থাকে দায়িত্ব অর্পনের বিধান করা। যেহেতু প্রশাসনের যথেষ্ট ক্ষমতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা আছে এসব খুঁজে বের করার।

১৩। মামলায় ঋণ খেলাপী, জামিনদার, বন্ধকদাতার পাশাপাশি সিএনএফ এজেন্ট, কাস্টম কর্তৃপক্ষ ও প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পক্ষকে পক্ষভুক্ত করার বিধান রাখা যাদের অপরাধমূলক সহযোগিতায় কোন ঋণ খেলাপীর উৎপত্তি হয়েছে।

১৪। অর্থঋণ সংক্রান্ত দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির জন্য অর্থঋণ আদালতের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বর্তমানে দেশে এ আদালতের সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু সেই তুলনায় মামলার সংখ্যা অনেক বেশি। আদালতের তুলনায় মামলা বেশি বলে মামলাগুলোর মেরিট বিবেচনায় নিষ্পত্তি হতে সময় বেশি লেগে যাচ্ছে।

১৫। অর্থঋণ মামলার বিভিন্ন পর্যায়ে মধ্যস্থতা কার্যক্রম মামলাকে বিলম্বিত করে। এটা বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় অর্থঋণ মামলায় মধ্যস্থতা কার্যক্রম সফল হয় না। সেক্ষেত্রে এই আইনের অধীনে দায়েরকৃত মামলায় মধ্যস্থতা কার্যক্রম বাতিল করা উচিত।

১৬। খেলাপী ঋণের দায় আদায়ে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শুধু নিম্ন পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের উপর দায় না চাপিয়ে আইনের মাধ্যমে উক্ত দায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উচ্চ বা ব্যবস্থাপনা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উপরও দায় দায়িত্ব সমভাবে অর্পণ করা সমীচীন। এতে দেশে খেলাপী ঋণের দায় আদায় জোরদার হবে।

১৭। অনেক সময় বিবাদী পক্ষ অর্থাৎ ঋণ খেলাপীরা উচ্চ আদালতে সংশ্লিষ্ট মামলা বিষয়ে বা আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে কোন মামলা করেছে মর্মে লইয়ার সার্টিফিকেট নিয়ে এসে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর মামলা স্থগিত করে রাখে। যদিও পরে দেখা যায় এতে উচ্চ আদালত হতে কোন স্থগিত আদেশ প্রদান করা হয়নি। আবার অনেক সময় দেখা যায় পরবর্তী ধার্য তারিখে বিবাদীপক্ষ স্থগিত আদেশের সার্টিফাইড কপি দাখিল করবে বলে আদালতে বার বার সময়ের আবেদন দেয়। এভাবে তারা সময় ক্ষেপণ করে প্রতিটা ধার্য তারিখে। এটা মূলত আদালতের সাথে প্রতারণা করার শামিল। তাই আইন করে এসব বন্ধ করা উচিত। বিশেষ করে মূল অর্থঋণ মামলায় বিজ্ঞ আদালতের এই বিষয়টা বিবেচনায় আনা উচিত।

১৮। আইনে মামলার আর্জিতে ঋণগ্রহীতার বন্ধককৃত সম্পত্তি বাদে অন্যান্য সম্পত্তিও যাতে আলাদা সিডিউল আকারে যুক্ত করা যায় তদরূপ বিধান করা। যাতে করে বন্ধককৃত সম্পত্তি হতে কোন কারণে ঋণের দায় আদায় না হলেও বা কোন বন্ধক ত্রুটিপূর্ণ হলেও উক্ত বর্ণিত অপরাপর সম্পত্তিসমূহ হতে ঋণের দায় আদায় করা যায়। এছাড়াও এতে আদালতের কাছে ঋণ গ্রহীতার ঋণ পরিশোধের আর্থিক সক্ষমতার চিত্র ফুটে উঠবে।

১৯। আইনে মামলা পরিচালনাকালে ঋণ বিতরণে দৃশ্যমান অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে আদালত কর্তৃক তা দুদক, সিআইডি বা পিবিআইকে তদন্ত ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দানের বিষয় যুক্ত করার বিধান আনা। এর ফলে ঋণ বিতরণের সময় ব্যাংকাররা আরও সচেতন হবে।

২০। কারো বিরুদ্ধে ঋণের দায় আদায়ে মামলা হলে সেক্ষেত্রে অর্থঋণ আদালত ও সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যৌথ মতামতের ভিত্তিতে বিবাদীর বিদেশ যাত্রার অনুমতির বিধান আইনে সন্নিবেশ করা। অর্থাৎ অনুমতি ছাড়া মামলাধীন কোন ঋণ খেলাপী দেশ ত্যাগ করতে পারবে না।

২১। মামলার শুরুতেই আদালতকে বন্ধকী সম্পত্তি সনাক্ত ও মূল্যায়নের নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা দেওয়া। এতে অচিহ্নিত বন্ধকী সম্পত্তি কিংবা মূল্য সম্পর্কে শুরুতে আদালত ধারণা পেলে তাতে মামলার গতিপথ এমনভাবে নির্ধারিত হবে যা মামলা জট নিরসনে ভুমিকা রাখবে।

২২। বিবাদী জবাব দেওয়ার পরে আর হাজির না হলে উক্ত মামলায় একতরফা রায় না হয়ে দো তরফা রায় হবে মর্মে বিধান করা। এতে বিবাদী পরিবর্তিততে এক তরফা রায়ের অযুহাতে মিস মামলা করে মামলা দীর্ঘায়িত করতে পারবে না। যেহেতু মিস মামলা আদালতে মামলা জট বাড়ায়।

২৩। বিদেশে পলাতক ঋণ খেলাপীদের যাতে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে দেশে এনে বিচারের সম্মুখীন করা যায় তৎবিষয়ে আদালতের আদেশ দানের বিষয়েও ব্যাপক ক্ষমতা প্রদান করা প্রয়োজন। এমন কোন বিধান অর্থঋণ আদালত আইনে সংযুক্ত করা যায়।

২৪। অর্থঋণ আইনে ফৌজদারি মামলার মত স্বশরীরে ঋণগ্রহীতা আদালতে হাজির থাকা এবং পাওয়ার অব অটর্নী দিয়ে অর্থঋণ মামলা পরিচালনা না করার বিধান যুক্ত করা। অর্থাৎ বিদেশে অবস্থান করে মামলা পরিচালনা নিষিদ্ধ করা।

২৫। অর্থঋণ মামলা দায়ের হবার সাথে সাথে আদালত কর্তৃক ঋণ খেলাপীর পাসপোর্ট জব্দ করার ও দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সরাসরি বিধান যুক্ত করা।

২৬। বিবাদীর বন্ধকী সম্পত্তি ব্যতীত অপরাপর সম্পত্তির সন্ধান পেলে মুল অর্থঋণ মামলার যেকোন পর্যায়ে তা অর্থঋণ আদালত কর্তৃক সরাসরি ক্রোক করার বিধান আনায়ন করা।

লেখক: সিনিয়র অফিসার (আইন), অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি।