দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মূসকের (ভ্যাট) সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরীকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে একক নির্বাহী সিদ্ধান্তে চার মোবাইল অপারেটরের ১৫২ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করার অভিযোগ রয়েছে।

সাবেক ভ্যাট কমিশনার ওয়াহিদা রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মূসকের (ভ্যাট) সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরীকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে একক নির্বাহী সিদ্ধান্তে চার মোবাইল অপারেটরের ১৫২ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করার অভিযোগ রয়েছে।

এ সংক্রান্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নিষেধাজ্ঞা দেন। ওয়াহিদা রহমানের দেশত্যাগ এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুদক আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ইমিগ্রেশনে চিঠি দিয়েছে।

এর আগে ১১ জুন দুদকের ঢাকা সমন্বিত কার্যালয়ে মামলাটি করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক শাহ আলম।

সেদিন এ নিয়ে দুদকের সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, মূসকের সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমান ক্ষমতার অপব্যবহার করে একক সিদ্ধান্তে চারটি মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিয়েছিলেন। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

তিনি বলেন, সাবেক কমিশনার একক নির্বাহী সিদ্ধান্তে গ্রামীণফোন লিমিটেড, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেলের ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা অপরিশোধিত সুদ মওকুফ করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী আইন বহির্ভূতভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে একক নির্বাহী সিদ্ধান্তে ১৬টি নথিতে ১৫২ কোটি ৮৯ লাখ ৩৯০ টাকা অপরিশোধিত সুদ মওকুফ করে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধন করেছেন।

এটি আত্মসাৎপূর্বক দণ্ডবিধির ২১৮/৪০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ কারণে তার বিরুদ্ধে বর্ণিত ধারায় একটি মামলা করা হয়। মামলার তদন্তকালে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইনের আওতায় আনা হবে। ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।