নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের ‘ঐতিহাসিক’ পদক্ষেপ
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা দেওয়ানি মামলা নিষ্পত্তিতে ভারতে বসছে লোক আদালত

দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা দেওয়ানি মামলাসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তি করতে চায় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। দেশটির তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ মামলার বোঝা কমাতে এবং দ্রুত সমাধান করতে বিশেষ লোক আদালত বসানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

ভারতের শীর্ষ আদালত সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকায় বলা হয়েছে, তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলির বোঝা কমাতে এবং দ্রুত সমাধান করতে বিশেষ লোক আদালত বসানো হবে। আগামী ২৯ জুলাই থেকে ৩ অগস্ট— ছ’দিন ধরে সুপ্রিম কোর্টে বসবে ওই লোক আদালত।

দেশটির সব হাইকোর্টের লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির সাহায্যে মামলার সঙ্গে যুক্ত বাদী ও বিবাদী পক্ষেরা সেখানে আবেদন জানাতে পারবেন। বিশেষ লোক আদালতে কয়েক দশকের আগের মামলার শুনানিও হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

দেওয়ানি-সহ ওই ধরনের বহু মামলা বছরের পর বছর ধরে সুপ্রিম কোর্টে পড়ে রয়েছে। তার মধ্যে কিছু মামলা আবার শুনানির জন্য উঠছেই না আদালতে। দৈনন্দিন বিচারের বাইরে গিয়ে ওই মামলাগুলির যাতে নিষ্পত্তি করা যায়, তার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সুপ্রিম কোর্ট।

আরও পড়ুন: ‘ব্রিটিশ আমলের দণ্ডবিধি’ বাতিলে আইন পাস ভারতে

সম্প্রতি সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সব হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ও রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে বলা হয়, দেওয়ানি-সহ নানা ধরনের মামলার মীমাংসা করবে ওই বিশেষ লোক আদালত। আগ্রহী মামলাকারীরা সেখানে আবেদন করতে পারবেন।

এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন অনেক পুরনো মামলার তালিকা হাইকোর্টের কাছে পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে, হাইকোর্ট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি ওই সব মামলায় যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তাদের বিশেষ লোক আদালত সম্পর্কে অবহিত করতে হবে।

ইতোমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট থেকে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে এই ধরনের প্রায় ১৫০টি মামলা এসেছে। ওই সব মামলার তথ্য চেয়েছে শীর্ষ আদালত। এর মধ্যে ৫০ বছরের অনেক পুরনো মামলাও রয়েছে।

কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর, বেশ কিছু মামলা রয়েছে ৪০-৫০ বছরের পুরনো।

প্রসঙ্গত, সাধারণত লোক আদালতে দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া কাটিয়ে দু’পক্ষের সম্মতিতে অনেক মামলার বিচার করা হয়। এই লোক আদালতের জন্য কোনও বিচারপতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ভাবে আপোস-মীমাংসার ফলে বিচারের কাজে অনেক গতি আসে। এতে যেমন বিচারের কাজ সহজ হয়ে ওঠে তেমনই আবার মামলাকারীদেরও সুবিধা হয়। নির্দিষ্ট দিনে মামলার দ্রুত সমাধান মেলে।