জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হলেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও সমাজসেবক এসএম আব্রাহাম লিংকন। সমাজসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২২ সালে একুশে পদক এবং ২০২৪ সালে স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত এই আইনজীবী পুনরায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হলেন।
এ বিষয়ে সম্প্রতি একটি স্মারক জারি করা হয়। এতে বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯২ -এর প্রথম সংবিধির ২০(১)(ঞ) ধারা অনুযায়ী একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক আব্রাহাম লিংকনকে দুই বছর মেয়াদে পুনরায় সিনেটের সদস্য মনোনীত করা হয়েছে।
এসএম আব্রাহাম লিংকন ১৯৬৬ সালের ১৪ নভেম্বর কুড়িগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জেলা শহরের ব্যাপারিপাড়া গ্রামের অধিবাসী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক প্রয়াত মহিউদ্দিন আহমদ ও প্রয়াত আমেনা খাতুন দম্পতির সাত পুত্রের মধ্যে পঞ্চম।
তিনি ১৯৯১ সালে রাজশাহী বিশ্বিবদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে অনার্সসহ এলএলবি এবং এলএলএম পাশ করেন। তিনি ১৯৮৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) নির্বাচিত সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ছিলেন।
এছাড়া তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের সদস্য ছিলেন। পাশাপাশি তিনি রিভারাইন পিপলেরও সিনেটর।
আব্রাহাম লিংকন ১৯৯১ সালের ৯ অক্টোবর কুড়িগ্রামে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এছাড়াও তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত আছেন।
কর্মদক্ষতার গুণে ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা আট বছর কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক এবং দুই মেয়াদে সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও তিনি বিগত ২০০৭ সাল থেকে অদ্যাবধি কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে কর্মরত আছেন।
এছাড়া রাজনৈতিক জীবনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর বর্তমানে সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী এসএম আব্রাহাম লিংকন নিঃস্বার্থভাবে সমাজসেবাসহ নানা সৃজনশীল কাজে নিয়োজিত আছেন। তিনি ১৯৯২ সালে কুড়িগ্রাম আইন কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। পারিশ্রমিক ও সম্মানি ছাড়াই তিনি অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।