সংযুক্ত আরব আমিরাতে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৫৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে মুক্ত করার বিষয়ে দূতাবাস কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, তা দ্রুত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে অবহিত করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিবকে বলা হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ জুলাই গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ বাংলাদেশির কারাদণ্ড’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে।
‘প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং বাকি একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’
‘সুয়োমটোতে উল্লেখ রয়েছে, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে দুবাইতে বিক্ষোভ করায় মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ট্রায়াল করে ৫৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আদালত কর্তৃক কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কমিশন মনে করে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক প্রবাসে আইনগত জটিলতায় পড়লে আইনি সহায়তা পাওয়ার অধিকার রাখে। এ লক্ষ্যে বর্ণিত ভুক্তভোগীদের আইনগত সহায়তা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা সমীচীন।’
‘এ অবস্থায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আদালত কর্তৃক কারাদণ্ড প্রাপ্ত ৫৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে মুক্ত করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দূতাবাস কর্তৃক কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তা দ্রুত কমিশনকে অবহিত করার জন্য সিনিয়র সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-কে বলা হয়েছে। আগামী ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখ প্রতিবেদনের জন্য ধার্য করা হয়েছে।’