মানিকগঞ্জে চলমান এজলাসে আইনজীবীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও আইনজীবীদের মুখের ওপর বিচারাধীন মামলার নথি নিক্ষেপের প্রতিবাদে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিচারকের অপসারণ দাবি করেছেন স্থানীয় অর্ধশত সাধারণ আইনজীবী।
জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম তানিয়া কামালের এজলাসে রোববার (১৮ আগস্ট) এ ঘটনা ঘটে। এরপর ওই বিচারকের অপসারণ দাবি করে ওই আদালত বর্জন করেন আইনজীবীরা। তবে এ বিষয়ে যোগাযোগ করেও বিচারকের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এসব বিষয়ে মামলার নিযুক্ত আইনজীবী দেওয়ান মো. মিজানুর রহমান বলেন, মানিকগঞ্জ সদর থানায় ১১(গ)/৩০ ধারার একটি মামলায় দুপুরে জামিন শুনানি শুরু করেন তিনি। এ সময় অ্যাডভোকেট জামিলুর রশিদ খান, মেজবাউল হক মেজবা, রেজাউল করিম রেজা, মহিউদ্দিন স্বপন, হুমায়ন কবির, বজলুর রহমান বজলু, মাইনুদ্দিন লিটনসহ একাধিক সিনিয়র আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ মামলায় জামিন শুনানি করার শুরুতেই বিচারক হুট করে অহেতুক উত্তেজিত হয়ে যায়। এ সময় সিনিয়র আইনজীবীরা জামিন শুনানির চেষ্টা শুরু করলে তিনি ওই সিনিয়র আইনজীবীদের বরাবর নথি নিক্ষেপ করে বর্তমান সরকার নিয়ে বিরূপ মন্তব্য শুরু করে সিনিয়র আইনজীবীদের অপমানজনক কথা বলা শুরু করেন। পরে আইনজীবীরা তার এজলাস বর্জন করে চলে যান।
উক্ত মামলায় চারজন নারী ও একজন পুরুষ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী দেওয়ান মো. মিজানুর রহমান।
মানিকগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মেজবাউল হক মেজবা বলেন, একটি মামলায় জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে সরকারকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে আইনজীবীদের লক্ষ্য করে নথি নিক্ষেপ করেন বিচারক; যা আইনসঙ্গত নয়।
তিনি বলেন, জামিন দেওয়া না দেওয়া বিচারকের ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু আইনজীবীদের জামিন শুনানির সুযোগ না দিয়ে নথি নিক্ষেপের বিষয়টি বিচারকের কাছ থেকে কাম্য নয়। যে কারণে এই বিচারকের অপসারণ দাবি করেন তিনি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আফসারুল ইসলাম মনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।