আদালতকক্ষের সোফায় হঠাৎ সাপ, পিটিয়ে মারলেন বিচারপ্রার্থীরা
এজলাস (প্রতীকী ছবি)

চাহিদামাফিক আদেশের জন্য দুর্ব্যবহার, বিব্রত বিচারকের এজলাস ত্যাগ

গাজীপুরে একটি মামলায় চাহিদামাফিক আদেশ না দেওয়ায় বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিব্রত বোধ করে এজলাস ত্যাগ করেন বিচারক।

গাজীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালতে গত সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গাজীপুর-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন। মিলনের পক্ষে স্ত্রী সম্পা হক ওই বছরের ২৪ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণায় কালীগঞ্জ যান। গাড়ির বহর নিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে পৌঁছালে তৎকালীন এমপি মেহের আফরোজ চুমকির নির্দেশে তার কর্মীরা সম্পা হকের ওপর হামলা করে গুরুতর আহত এবং গাড়ি ভাঙচুর করে।

এ ঘটনায় সোমবার সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকিসহ আওয়ামী লীগের ১৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গাজীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালতে মামলার আবেদন করেন বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী মু মোস্তফা কামাল।

সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শুনানি শেষে কালীগঞ্জ থানার পুলিশকে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া আদেশ দেন বিচারক। কিন্তু আইনজীবী তদন্ত ছাড়াই সরাসরি এফআইআর গ্রহণের আদেশ দিতে বিচারককে চাপ দেন।

ঘটনাটি দীর্ঘদিনের পুরনো ঘটনা হওয়ায় বিচারক আগের সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন। এ নিয়ে আইনজীবী মোস্তফা কামালের সঙ্গে থাকা জুনিয়র আইনজীবীরা বিচারকের সাথে কথা-কাটিকাটি ও দুর্ব্যবহার করেন। এক পর্যায়ে বিচারক এজলাস ত্যাগ করে চলে যান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনজীবী মু মোস্তফা কামাল বলেন, মামলা ফাইলিংয়ের আদেশ নিয়ে একটু ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল। বিচারক এজলাস ত্যাগ করেননি। পরে আদেশ দেবেন বলে সাময়িকভাবে চলে গিয়েছিলেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে রাত সাড়ে ৭টার দিকে গাজীপুর জেলা আদালতের পরিদর্শক মো. আনিসুর রহমান প্রথমে জানান, ঘটনাটি তার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে জানাবেন।

পরে বলেন ঘটনা সত্য। ওই সময় আদালতের বাইরে থাকায় তাকে কেউ বিষয়টি জানায়নি।