সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ বি এম ইব্রাহিম খলিল এ মামলা করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দির গ্রহণ করে শাহবাগ থানাকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন ফকির, আব্দুর নুর দুলাল, ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোর্শেদ, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন-অর-রশীদ, ডিবি রমনা (সুপ্রিম কোর্ট ইনচার্জ) মোহাম্মাদ মমিন, রমনা জোনের সাবেক এডিসি হারুন, রমনা জোনের সহকারী কমিশনার বায়েজীদুর রহমান, রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল আল মাসুম, নিউমার্কেট জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুক, শাহবাগ থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. মাহফুজুল হক ভুইয়া প্রমুখ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অডিটরিয়ামে হঠাৎ করে সকাল ১০টায় ৪০-৫০ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির অজ্ঞাতপরিচয় আইনজীবী, যুবলীগ ও ১০০ জন স্পেশাল পুলিশ সদস্যসহ এজাহারনামীয় কয়েকজন আসামির নির্দেশে বারের অডিটরিয়ামে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ইতিহাস, ঐতিহ্য, মান-মর্যাদা বিনষ্ট করেন।
আসামিরা সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামের ভেতর থেকে আইনজীবীদের বের করে দিয়ে তথাকথিত নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে জাল ও ভুয়া ভোট, জাল ব্যালট তৈরি ও নিজেরা ব্যালটে জাল ভোট প্রদান করেন। নির্বাচন প্রক্রিয়া নষ্ট করে স্বৈরাচার পন্থায় আসামিরা ১৪ জনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট বার আইনজীবী সমিতির দায়িত্বে বসান।
বাংলাদেশে স্বৈরশাসক থাকায় ও ঘটনার সঙ্গে পুলিশি রাষ্ট্রের মন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল, শেখ পরিবারের দুর্নীতিবাজ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপসের সরাসরি ইন্ধন, নির্দেশ, পরিকল্পনা, হুকুম থাকায় বাদী এত দিন মামলা করতে পারেননি বলে মামলার আরজিতে উল্লেখ করেন।