২ মামলা থেকে খালাস পেলেন বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ

২ মামলা থেকে খালাস পেলেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : ২০০৭ সালে কক্সবাজারে দায়ের করা ২টি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আখতার জাবেদ বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ সহ ২টি মামলার মোট ৫৭ জন আসামীকে খালাস প্রদান করেন।

২০০১ সালের ২৭ মে কক্সবাজারের চকরিয়ার চরণদ্বীপ মৌজার ২০১ একর চিংড়ি ঘের জবর দখল করে চিংড়ি মাছ লুটপাট সহ অন্যান্য অভিযোগ এনে ঘটনার ৬ বছর পর ২০০৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী একই উপজেলার পালাকাটার মোহাম্মদ সাঁচি’র পুত্র বদিউর রহমান বাদী হয়ে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদকে প্রধান আসামী করে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার চকরিয়া থানা মামলা নম্বর : ১৩, তারিখ : ১৫/০২/২০০৭ ইংরেজি, জিআর মামলা নম্বর : ৪৭/২০০৭ ইংরেজি (চকরিয়া)।

অনুরূপভাবে ২০০১ সালের ১৭ অক্টোবর কক্সবাজারের চকরিয়ার রামপুরা মৌজার ৩১৫ একর চিংড়ি ঘের জবর দখল করে চিংড়ি মাছ লুটপাট সহ অন্যান্য অভিযোগ এনে ঘটনার ৬ বছর পর ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী একই উপজেলার বদরখালীর তজু মিয়ার পুত্র মাহমুদুল হক বাদী হয়ে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদকে প্রধান আসামী করে ২৪ জনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। যার চকরিয়া থানা মামলা নম্বর : ১৭, তারিখ : ১৮/০২/২০০৭ ইংরেজি, জিআর মামলা নম্বর : ৫১/২০০৭ ইংরেজি (চকরিয়া)।

আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বিখ্যাত মাসদার হোসেন মামলার বাদীর সাক্ষাৎ

এ দু’টি মামলায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সহ সকল আসামী আদালত থেকে জামিন নেন। সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদ গুম হয়ে ভারতের শিলং এ নির্বাসনে থাকাবস্থায় তাঁর জামিন বাতিল হয়ে যায়। উভয় মামলা বিচারের জন্য চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। কিন্তু মামলায় দীর্ঘদিন ধরে কোন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেননি।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ২টি মামলার ধার্যদিনে সালাহউদ্দিন আহমদ স্বশরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন এবং মামলার সকল কার্যক্রম শেষ করে আসামীদের খালাস দিতে আবেদন করেন।

আবেদন ২টি সাবেক পিপি ও কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না শুনানী করেন। এসময় আসামীদের পক্ষে ২ শতাধিক আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এরপর আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আখতার জাবেদ রাষ্ট্র পক্ষে এপিপি অ্যাডভোকেট প্রতিভা দাশের বক্তব্য শুনেন।

মামলা ২টি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ার পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও প্রসিকিউসন পক্ষ আদালতে কোন সাক্ষী উপস্থাপন করতে না পারায় মামলা ২ টির কার্যক্রম চালাতে গিয়ে অযথা আদালতে কর্মঘন্টা নষ্ট হচ্ছে বলে বিচারক আখতার জাবেদ মন্তব্য করেন।

তাই মামলা ২ টির কার্যক্রম ফৌজদারী কার্যবিধির ২৪৯ ধারায় বন্ধ করে দিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ সহ মামলার সকল আসামীদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন।

২৪ বছর আগের মিথ্যা ঘটনা উল্লেখ করে ১৭ বছর আগে দায়ের করা মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আদালতের আদেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এভাবে গত ১৭ বছরে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা, গায়েবি ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে আসামীদের আইনী প্রক্রিয়ায় খালাস, অব্যাহতি বা প্রত্যাহার করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।