জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ নিয়ে তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনায় ডিসিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও ব্যাংক হিসাব জব্দের আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর রোববার (৬ অক্টোবর) ওই আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাদিম মাহমুদ।
আইনজীবী নাদিম মাহমুদ আবেদনে বলেন, ডিসিদের নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির তথ্য ফাঁস হওয়ার পর এখন পর্যন্ত দুদক থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমি তাই দুদকে আবেদন করেছি। একই সঙ্গে যারা ডিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দের অনুরোধ করেছি।
তিনি বলেন, কারণ ফাঁস হওয়া তথ্যানুসারে ঘুষের টাকা ডলার ও টাকায় লেনদেন হয়েছে। পরিবারের সদস্যসহ তাদের সম্পদের হিসাব নেওয়া উচিত। এ বিষয়ে দুদক যদি পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে হাইকোর্টে রিট করব।
আবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে একটি দুর্নীতিমুক্ত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমি একজন বাংলাদেশের স্থায়ী ও সচেতন নাগরিক এবং বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে ঘুষের মাধ্যমে অর্থাৎ দুর্নীতির মাধ্যমে পদে নিয়োগ সমর্থন করি না বিধায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদে বদলি ও পদায়ন করার জন্য চেক, ক্যাশ ও ডলারে ঘুষের টাকা লেনদেন করা এবং ঘুষের টাকা বিদেশে পাচার করা ও ঘুষ লেনদেনে সহায়তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে অনুসন্ধান করা একান্ত প্রয়োজন।
এতে আরও বলা হয়, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কেউ যাতে বিদেশে পালাতে না পারে এবং তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো টাকা উত্তোলন করতে না পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত আবশ্যক বলে মনে করি।
অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে অনুসন্ধান শুরু করা এবং অভিযুক্তদের কেউ যাতে বিদেশে পালাতে না পারে সেজন্য আদালতে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণেরও অনুরোধ করা হয়েছে আবেদনে।