দেশে আরও ২০০টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল গঠনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএসএ)। একই সঙ্গে শিশু ও মানব পাচার আদালত গঠনের আহ্বান জানিয়েছে বিচারকদের এই সংগঠন।
জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব দাবির কথা জানিয়েছে।
জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, নারীর প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন ও নিপীড়নের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার জন্য ২০০০ সালে সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। দুঃখের বিষয়, যে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আইনটি করা হয়েছিল, তার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু ধর্ষণের ঘটনা আমাদের ব্যথিত করেছে।
সংগঠনটি আরও বলেছে, নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলার বিচারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে মামলার সংখ্যার সঙ্গে সংগতি রেখে পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্রাইব্যুনাল না থাকা। আবার বিদ্যমান ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের মামলার পাশাপাশি শিশু আদালত ও মানব পাচার অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
সারা দেশে বর্তমানে ১ লাখ ৫১ হাজার ৩১৭টি মামলার বিপরীতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল রয়েছে ১০১টি। এ হিসাব অনুযায়ী গড়ে প্রতিটি ট্রাইব্যুনালে প্রায় ১ হাজার ৫০০ মামলা বিচারাধীন। আবার ট্রাইব্যুনালগুলোয় পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মচারীদের পদও সৃজন করা হয়নি। ফলে দেশের ট্রাইব্যুনালগুলো প্রত্যাশামতো কাজ করতে পারছে না।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আরও বলছে, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার দ্রুত বিচারের স্বার্থে অবিলম্বে ২০০টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল গঠনের আহ্বান জানানো হচ্ছে।