আদালতে মিথ্যা ও অসংলগ্ন বক্তব্য, কারাগারে সাক্ষী
কারাগার (প্রতীকী ছবি)

মসজিদ থেকে বিচারকের জুতা চুরি, গ্রেপ্তারের পর কারাগারে চোর

ঢাকার স্পেশাল জজ আদালত-১০-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. রেজাউল করিমের জুতা চুরির ঘটনায় সুমন নামে এক যুবককে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) জোহরের নামাজের পর এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর শুক্রবার (১৪ মার্চ) আদালতের মাধ্যমে সুমনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইমরান হোসেন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, ঢাকা জজ কোর্ট জামে মসজিদে জোহরের নামাজ পড়তে যান ঢাকার স্পেশাল জজ আদালত-১০-এর বিচারক মো. রেজাউল করিম। নামাজ শেষে দেখেন তার জুতা চুরি হয়ে যায়।

পরে খোঁজাখুঁজি করে ওই মসজিদেই নামাজ পড়তে আসা মো. সুমন নামে এক যুবকের কাছ থেকে চুরি হওয়া জুতা উদ্ধার করা হয়। এ সময় সুমনকে আটকে রাখেন মুসল্লিরা। পরে তাকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ ঘটনায় ঢাকা স্পেশাল জজ আদালত-১০-এর স্টেনোগ্রাফার রাসেল মিয়া বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় মো. সুমনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ঢাকা স্পেশাল জজ আদালত-১০-এর বিচারক মো. রেজাউল করিম নিয়মিত ঢাকা জজ কোর্ট জামে মসজিদে জোহর, আসর এবং ক্ষেত্রবিশেষে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন।

গত ১৩ মার্চ দুপুরে ওই মসজিদের তৃতীয় তলায় জোহরের নামাজ শেষে অফিসে আসার সময় মসজিদে রাখা তার ব্যবহৃত ১ হাজার ৮৫০ টাকা মূল্যের এক জোড়া চামড়ার কালো জুতা খুঁজে পাচ্ছিলেন না।

এর কিছুক্ষণ পর অজ্ঞাতপরিচয় এক মুসল্লি মো. সুমনকে তার ডান হাতে পলিথিন ব্যাগে জুতা দেখে সন্দেহ করে তৃতীয় তলায় নিয়ে আসেন। তখন বিচারক তার জুতাজোড়া শনাক্ত করেন এবং সুমনকে আটক করা হয়।

পরে কোতোয়ালি থানায় ফোন করে বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে এবং আসামিসহ চুরি করা জুতা জোড়া হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ চোরাই জুতার জব্দতালিকা প্রস্তুত করে এবং আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ রবিউল আলমের জিম্মায় প্রদান করে।