সিরাজগঞ্জে শিশু নির্যাতন, তারেক রহমানের নির্দেশে আইনি সহায়তায় প্যানেল গঠন

সিরাজগঞ্জে শিশু নির্যাতন, তারেক রহমানের নির্দেশে আইনি সহায়তায় প্যানেল গঠন

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আইনি সহায়তা দিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে গঠন করা দুই সদস্যবিশিষ্ট আইনজীবী প্যানেল কাজ শুরু করেছে।

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির কর্ণেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা হচ্ছে, ভুক্তভোগী শিশুটির মা যে মামলা করেছেন, সেখানে বিএনপির পক্ষ থেকে সব ধরনের আইনগত পদক্ষেপ, আইনি সহায়তা দেওয়া, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ জন্য সিরাজগঞ্জ বিএনপির পক্ষ থেকে একটি আইনজীবী প্যানেল গঠন করা হয়েছে।

আইনজীবী হুমায়ুন কবির কর্ণেল আরও বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে আইনজীবী প্যানেল ইতিমধ্যে আলোচনা করেছে। এছাড়াও শিশুটির পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

প্যানেলে রয়েছেন-আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার আবদুল মতিন ও অ্যাডভোকেট আখি পারভীন

ইতোমধ্যে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে এ আইনজীবী প্যানেল কাজ শুরু করেছে, যেন প্রকৃত দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা যায়।

আরও পড়ুনধর্ষকদের পক্ষে দাঁড়াবেন না মাগুরার কোনও আইনজীবী

শনিবার (১৫ মার্চ) শিশুটির পরিবারের সঙ্গে, হাসপাতালে ও থানায় ওসির সাথে দেখা করেন সিরাজগঞ্জ জেলা জজকোর্টের বিজ্ঞ পিপি, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিক সরকার ও হুমায়ুন কবির কর্ণেল। শিশুটির চিকিৎসা ও তার সঙ্গে হওয়া অপরাধের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দেন তারা। এদিকে

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে পাবনায় মামার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের এস আই নাজমুল হক জানান, বেড়া উপজেলার শাহপাড়ায় মামার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তারের পর ওই কিশোরকে সিরাজগঞ্জ ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। আসামি কিশোর হওয়ায় বিকেলে তাকে গাজীপুর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে ৯ মার্চ রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের নাড়ুয়া গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। মাঝে চারদিন সামাজিকভাবে শালিসের নামে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার রাতে নির্যাতিত শিশুর বাবা বাদি হয়ে মামলা করেন।

রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, সাত বছর বয়সী ওই শিশুটি একটি স্কুলে পড়াশোনা করে। স্কুল ঘরের মালিকের স্ত্রী সেখানে শিক্ষকতা করেন। পাঠদানের পাশাপাশি স্কুলটিতে শিশুদের সাঁতার শেখানো হয়।

ঘটনার দিন সকালে স্কুলে আসলে ওই শিক্ষিকার ছেলে শিশুটিকে আরেকটি ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর শিশুটি ঘটনা জানালেও তার স্বজনরা বিষয়টি থানায় অবগত না করে গোপন রেখেছিলেন। নির্যাতিত শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।