শরীয়তপুর জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন জমি-সংক্রান্ত একটি মামলায় বাদীপক্ষের হয়ে মামলা পরিচালনার দায়ে হামলার শিকার হয়েছেন। বিবাদীপক্ষের লোকজন তার ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর এই নৃশংস হামলা চালায়।
ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার (৭ এপ্রিল) শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। জেলা সদর কোর্ট চত্বরে আয়োজিত এই মানববন্ধনে শরীয়তপুরের কর্মরত শতাধিক আইনজীবী অংশ নেন।
মামলা ও স্থানীয় জানা গেছে, মামলার বাদীপক্ষের পক্ষে আইনগত সহায়তা প্রদান করছিলেন অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন। স্থানীয়ভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য গত ৫ এপ্রিল, শনিবার বিকেলে দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেনকে দাওয়াত দেওয়া হলেও বিবাদীপক্ষ সেখানে উপস্থিত না হয়ে বাইরে ওত পেতে থাকে।
পরবর্তীতে তারা দেশীয় অস্ত্র, ছুরি ও চাপাতি দিয়ে শাহাদাত হোসেনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় তার শরীরে গুরুতর আঘাত লাগে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে রক্ষা করতে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়।
ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই বর্বরোচিত হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম কাসেম বলেন,
শাহাদাতের উপর হামলাকারীরা যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন, আমরা তাদের আইনের আওতায় আনবো এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করব। শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতি কোনো সন্ত্রাসীর কাছে মাথা নত করবে না। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, তাহলে কোনো শক্তিই আমাদের প্রতিরোধ করতে পারবে না। আমরা অ্যাডভোকেট শাহাদাতের উপর হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন,
এটা শুধু শাহাদাতের উপর হামলা নয়, বরং পুরো আইনজীবী সমাজের উপর হামলা। কোনো তদবিরেই হামলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট হানিফ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম, সাবেক জিপি অ্যাডভোকেট আলমগীর মুন্সি, অ্যাডভোকেট মৃধা নজরুল কবির, অ্যাডভোকেট শাহ আলম, অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান রোকন, অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান মাসুদ, অ্যাডভোকেট মুরাদ হোসেন মুন্সি সহ সকল আইনজীবীবৃন্দ।