নাটোর জেলা আদালতের মালখানা থেকে চুরি হয়েছে ৬১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা, ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার এবং ১৯ কেজি রুপা।
গত বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতের কোনো এক সময়ে মালখানার গ্রিল ও লকারের তালা ভেঙে এই চুরির ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নজরে আসে আদালত পুলিশের এক সদস্যের মাধ্যমে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন জানিয়েছেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে এবং ইতোমধ্যে বরখাস্ত এক পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আটককৃতদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং চোর চক্রকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, চুরি যাওয়া অর্থের মধ্যে সিংড়া থেকে সম্প্রতি উদ্ধার হওয়া এলজিইডির গাইবান্ধা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলীর ৩৭ লাখ টাকাও ছিল। পুলিশের ধারণা, এই টাকা লক্ষ্য করেই চক্রটি পরিকল্পিতভাবে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে।
আদালত পুলিশের এক সদস্য দুপুরে মালখানার জানালার গ্রিল ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। এরপর আদালত পরিদর্শক মোস্তফা কামাল ঘটনাস্থলে এসে মালখানা খুলে চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জেলা ও দায়রা জজ শেখ মো. নাসিরুল হক এবং পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বিকেলে শুরু হয় মালামালের হিসাব মেলানো।
পরিদর্শক মোস্তফা কামাল জানান, মালখানা ছিল সিসিটিভির আওতায় এবং প্রহরীও নিয়োজিত ছিল। তবে চোর চক্র পেছনের জানালার গ্রিল ভেঙে ভেতরে ঢুকে লকার ভেঙে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। তারা ঘটনাস্থলের সিসিটিভি হার্ডডিস্ক বক্সও খুলে নিয়ে গেছে। দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের অবহেলা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সদর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, মালখানার রেজিস্টার দেখে সন্ধ্যায় হিসাব নিশ্চিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলামের কাছ থেকে ১৪ মার্চ উদ্ধার হওয়া ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকাও। ধারণা করা হচ্ছে, ওই অর্থ হাতিয়ে নিতেই পরিকল্পিতভাবে এই চুরির ঘটনা ঘটানো হয়েছে।