ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে বেঞ্চ সহকারী বরখাস্ত
বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম

ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে বেঞ্চ সহকারী বরখাস্ত

ঘুষ গ্রহণ, নথি ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে রাজশাহী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কর্মরত বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) বিচারসেবা প্রদানে যে কোন দুর্নীতির বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বনের অংশ হিসেবে অদ্য বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট প্রশাসন কর্তৃক এ আদেশ জারি করা হয়।

বিগত ১৮.০৯.২০২৪ খ্রি. তারিখে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বিচার সেবা সহজিকরণসহ পেশাগত কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট রেজিস্ট্রির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে ১২ দফা নির্দেশনা প্রদান করেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সকল প্রকার আর্থিক লেনদেন বর্জন উক্ত ১২ দফা নির্দেশনার মধ্যে অন্যতম।

আরও পড়ুন : বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের প্রস্তাবিত সুপ্রীম কোর্ট সচিবালয়ের অধীনস্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব

এছাড়া, প্রধান বিচারপতি তাঁর ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে Judicial Independence and Efficiency শীর্ষক সেমিনার সিরিজে অংশগ্রহণ করেন।

উক্ত সেমিনারে প্রধান বিচারপতি জেলা আদালতসমূহে তাঁর ঘোষিত ১২ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে সকলকে উদ্বুদ্ধ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা আদালতে স্থানীয় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুরূপ নির্দেশনাবলী জারি হয়েছে।

সম্প্রতি ‘সংবাদ ২৪ ঘন্টা’ নামক একটি স্থানীয় অনলাইন মিডিয়ায় রাজশাহী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কর্মরত বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, নথি ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট প্রচারিত হয়।

আরও পড়ুন : দেওয়ানি ও ফৌজাদারি বিচার ব্যবস্থা সংস্কারে আইন মন্ত্রণালয়ে সুপ্রীম কোর্টের চিঠি

প্রধান বিচারপতি ঘোষিত ১২ দফা নির্দেশনার আলোকে বিচারসেবা প্রদানে যে কোন দুর্নীতির বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বনের অংশ হিসেবে আজ বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট প্রশাসন কর্তৃক উক্ত বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করার আদেশ হয়।

এছাড়া, ৩০ দিনের মধ্যে উক্ত বিষয় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তদন্ত সম্পন্নপূর্বক প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য জেলা জজ, রাজশাহীকে নির্দেশনা প্রদান করে আজ হাইকোর্ট বিভাগ হতে আদেশ জারি হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে অভিযুক্ত বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।