নওগাঁ জেলার পোরশা থানার কালাইবাড়ী গ্রামের এক নাবালিকা ছাত্রীকে গণধর্ষণ মামলায় দুই আসামির প্রত্যেকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করার রায় প্রদান করেছেন আদালত। জরিমানার অর্থ ধর্ষণ শিকার ছাত্রীকে প্রদানের নির্দেশ দেন বিচারক।
আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ০৮ মার্চ রাত্রি বারটা পঁয়তাল্লিশ ঘটিকার সময় চৌদ্দ বছরের ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সুরানন্দ গ্রামের জনৈক হাবিবুল্লাহ শাহ্ এর আম বাগানের দোচালা ঘরে নিয়ে যায় একই একই গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে সাকিল। সেখানে সাকিল ও একই থানাধীন আলাদিপুর গ্রামের রবুর ছেলে আব্দুল আলীম ঐ ছাত্রীকে জোর পূর্বক পলাক্রমে ধর্ষণ করে।
ছাত্রী নিজেই পোরশা থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আদালত দশ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন।
আজ আসামিদ্বয়ের উপস্থিতিতে আসামিদ্বয়ের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডের রায় পড়ে শুনানো হয়। পরে আসামিদ্বয়কে সাজা পরোয়ানা মূলে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার।
রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম ও আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন মামলা পরিচালনা করেন।
রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আসামী পক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান।