জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কিছু প্রভাবশালী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, কর ফাঁকির সুযোগ দেওয়া এবং করদাতাদের হয়রানির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান শুরু করেছে।
আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধান অনুযায়ী, যেসব এনবিআর কর্মকর্তা তদন্তের আওতায় এসেছেন, তারা হলেন:
-
এনবিআরের সদস্য লুৎফুল আজীম
-
ভ্যাট এলটিইউ’র অতিরিক্ত কমিশনার আবদুর রশীদ মিয়া
-
কর গোয়েন্দা সেলের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন
-
কর অঞ্চল–১৬-এর উপকর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম
-
এনবিআরের যুগ্ম কমিশনার তারেক হাসান
দুদকের তথ্য মতে, এই কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালনের সময় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে কর ফাঁকির সুযোগ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে কর কমিয়ে রাষ্ট্রীয় রাজস্ব আদায়ে ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন।
এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে, ঘুষ না পেলে এসব কর্মকর্তা মিথ্যা কর ফাঁকির মামলা দিয়ে করদাতাদের হয়রানি করেন। কর ফেরতের ক্ষেত্রেও ঘুষ ছাড়া ফাইল না ছাড়ার অভিযোগ পেয়েছে দুদক।
অনেক করদাতাকে অগ্রিম বা অতিরিক্ত কর ফেরতের জন্য ঘুষ দিতে বাধ্য করা হয়—যার একটি বড় অংশ কর্মকর্তাদের পকেটে যায়।
দুদকের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, অনুসন্ধানে থাকা কর্মকর্তাদের অনেকের বিরুদ্ধেই জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যাংক হিসাব ও সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে দুদক। তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।