উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের ৫ দফা অভিমত
বিচারপতি (প্রতীকী ছবি)

সুপ্রিম জুডিসিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলকে আইনি নোটিশ

দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগে মাত্র ৫৩ জন আবেদনকারীকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকার ঘটনায় সুপ্রিম জুডিসিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আজ সোমবার (২১ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহদী জামান (বনি) ও অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান এই নোটিশ পাঠান।‌

নোটিশে আইন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার এবং সুপ্রিম জুডিশিয়াল এপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

মূল অভিযোগসমূহ

নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতার অভাব: সুপ্রিম জুডিসিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল গঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল নিরপেক্ষ, পক্ষপাতমুক্ত এবং রাজনৈতিক আনুগত্যবিহীন বিচারক নিয়োগ। অথচ ৩০০ জন আবেদনকারীর মধ্যে কোন নীতিতে কেবল ৫৩ জনকে ইন্টারভিউয়ের জন্য বাছাই করা হলো, তা রহস্যজনক।

গণবিজ্ঞপ্তির শর্ত লঙ্ঘন: ৩০০ জন প্রার্থী সকলেই গণবিজ্ঞপ্তির শর্ত পূরণ করে আবেদন করেছিলেন। প্রত্যেকেরই “লেজিটিমেট এক্সপেকটেশন” ছিল ভাইভা বোর্ডে ডাক পাওয়ার। কিন্তু বাছাইয়ে বৈষম্য করা হয়েছে, যা সুপ্রিম কোর্ট বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ ও ২৯ এর পরিপন্থি।

অর্থনৈতিক ক্ষতি: প্রার্থীরা আবেদন করতে গিয়ে লক্ষাধিক টাকা খরচ করেছেন—২০টি রায়ের সত্যায়িত কপি ও ১০টি মেমোরেন্ডাম সংগ্রহের জন্য। অথচ সাক্ষাৎকারের সুযোগ না দিয়ে তাদের আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলা হয়েছে।

কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট: নোটিশে বলা হয়েছে, অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের একজন সম্মানিত সদস্যের স্ত্রীকেও ইন্টারভিউ দেওয়া হয়েছে। এটি সরাসরি “কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট”

রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ: নোটিশে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, কিছু পতিত স্বৈরাচার দোসরদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়েছে, যা ২০২৪ বিপ্লবের “সাম্য, সমতা ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ” স্পিরিটের পরিপন্থি।

নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে বিচারপতি নিয়োগের জন্য সকল আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত প্রতিকার পাওয়ার জন্য যথাযথ আদালতের শরণাপন্ন হবে বলে নোটিশে জানানো হয়েছে।‌