দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ডে বাবা-মা বা অভিভাবকের ফোন নম্বর সংযুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ডে রক্তের গ্রুপও (ব্লাড গ্রুপ) উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ এই নির্দেশনা দেন বলে জানিয়েছেন রিটের পক্ষের আইনজীবীরা।
আজ হাইকোর্ট তার আদেশে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হয়ে ছাত্র-ছাত্রীসহ বহু হতাহতের ঘটনায় কারণ অনুসন্ধানে সাত দিনের মধ্যে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সাথে এই কমিটিকে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
অন্তবর্তীকালীন এসব আদেশের পাশাপাশি হাইকোর্ট ক্ষতিপূরণ বিষয়ে রুল জারি করেছেন। রুলে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে নিহতদের ৫ কোটি টাকা ও আহতদের ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রশ্নে রুল জারি করেছেন এবং আহতদের দেশে কিংবা প্রয়োজনে বিদেশে পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে বলেও জানান রিটের পক্ষের আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন : মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হাইকোর্টের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ঈসা।
এর আগে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের প্রেক্ষাপটে জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ আর রায়হানের এ রিট দায়ের করেন।
রিটে বিমানবাহিনীর অধীনে ত্রুটিপূর্ণ বিমানের সংখ্যা কত এবং এদের রক্ষণাবেক্ষণের কি কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে, তা জানতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া মাইলস্টোন স্কুলের আহত শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো, মাইলস্টোন স্কুলে আগুনে পুড়ে যাওয়া নিহত শিক্ষার্থীদের ৫ কোটি টাকা এবং আহত শিক্ষার্থীদের ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়। হতাহত শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকের গলায় আইডি কার্ড ঝোলানো থাকলেও তা কোনো কাজে আসেনি। তাতে ছিল না রক্তের গ্রুপ, অভিভাবকের নাম-পরিচয় কিংবা যোগাযোগের নাম্বার। এতে শিক্ষার্থীদের পরিচয় শনাক্তসহ চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হয়েছে।