বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে অনুষ্ঠিত হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন যেখানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিচার বিভাগের আধুনিকায়ন ও সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের অডিটোরিয়ামে ‘পারস্পরিক মতবিনিময়: সুপ্রিম কোর্ট এবং আইন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংলাপ’ শিরোনামে স্টুডেন্ট কনফারেন্স গত ২ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল (সিনিয়র জেলা জজ) ড. আজিজ আহমদ।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের এই নতুন যাত্রার সন্ধিক্ষণে আইন শিক্ষার্থীদের সাথে চিন্তাভাবনা ও সংলাপ আদান-প্রদান করতে পেরে আমরা আনন্দিত।”
বক্তব্যে উঠে আসে ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মাননীয় প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ প্রণীত বিচারিক কর্মপরিকল্পনার দিকনির্দেশনা এবং তার আওতায় গৃহীত একাধিক সংস্কার কর্মসূচির কথা।
সংস্কার কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
-
পৃথক বিচারিক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ, যা শিগগিরই বাস্তবায়নের পথে।
-
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিতকরণ, বিচারকদের আচরণবিধি, অভিযোগ তদন্ত এবং অপসারণের সুপারিশের জন্য।
-
বিচারপতি নিয়োগে ‘এপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ গঠন, যা সততা ও মেধাভিত্তিক নিয়োগ নিশ্চিত করবে।
-
১২ দফা স্বচ্ছতা নির্দেশনা ও সুপ্রিম কোর্ট হেল্পলাইন চালু, যা বিচারপ্রার্থীদের সহযোগিতা করবে।
-
পেপারলেস আদালত ও ই-জুডিশিয়ারি বাস্তবায়নের উদ্যোগ।
-
‘প্রধান বিচারপতি ফেলোশিপ’ চালু, যা বিচারকদের পেশাগত উৎকর্ষে সহায়তা করবে।
ড. আজিজ আহমদ বলেন, “বিচার ব্যবস্থার উপর জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং জনমুখী বিচার নিশ্চিত করতে এই সম্মেলন শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করবে।”
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি আয়োজিত “Judicial Independence and Efficiency” শীর্ষক ৭টি আঞ্চলিক সম্মেলন এবং ২২ জুন ২০২৫-এ অনুষ্ঠিত জাতীয় সেমিনার এসব সংস্কারের গুরুত্ব তুলে ধরে।
উক্ত সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও অ্যাটর্নি জেনারেল বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।