আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে দায়ের করা মামলাটি বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি তামান্না রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল নোমান এবং ব্যারিস্টার প্রিয়া আহসান চৌধুরী।
এর আগে মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিল আদালত। আজ সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে মামলাটি বাতিল করে দেওয়া হয়।
মামলার ইতিহাস অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের (তৎকালীন ২০০৬ সালের আইনের ৫৭ ধারায়) মামলাটি দায়ের করা হয়। একই বছরের ১২ আগস্ট আদালত শহিদুল আলমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, আসামি শহিদুল আলম তার ফেসবুক টাইমলাইনের মাধ্যমে এবং দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘কল্পনাপ্রসূত ও অসত্য তথ্য’ উপস্থাপন করে রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। এছাড়াও তিনি জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়েছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এসব প্রচারণা জনমনে ভীতি সৃষ্টি ও রাষ্ট্রকে অকার্যকরভাবে উপস্থাপন করার ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল।
মামলার পর শহিদুল আলমকে কারাগারে পাঠানো হলে দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করে।
দীর্ঘ ছয় বছরের আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ হাইকোর্ট মামলাটি সম্পূর্ণরূপে বাতিল করে দেন। এ রায়ের ফলে শহিদুল আলম এখন ওই মামলায় আইনি বাধামুক্ত হলেন।