সংবিধান অর্থবহ করতে বিচার আরও স্বচ্ছ হতে হবে: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ

গত এক বছরে বিচার বিভাগের উন্নয়নে প্রধান বিচারপতির উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপসমূহ

গত এক বছরে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও সংস্কারের লক্ষ্যে ১৮টি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছেন। বিচার বিভাগের উন্নয়নে গৃহীত উদ্যোগসমূহের মধ্যে রয়েছে বিচারবিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা, বিচার সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা আনয়নে ১২ দফা নির্দেশনা, এবং হাইকোর্ট বিভাগে একাধিক পেপার ফ্রি বেঞ্চ চালু।

বিচারপ্রার্থীদের সেবা সহজ করতে লিগ্যাল এইড প্রদানে প্রচলিত Means Test-এর পাশাপাশি Capacity Test চালু করা হয়েছে। সুপ্রীম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ও প্রস্তাব প্রেরণ, অধস্তন আদালতের বিচারক বদলি ও পদায়ন নীতিমালা প্রণয়ন, এবং উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ প্রণয়নের প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে।

প্রযুক্তি ও সেবা উন্নয়নের অংশ হিসেবে সুপ্রীম কোর্ট ও সারাদেশের আদালতে হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে এবং মোবাইল সেট ও সিম কার্ড সরবরাহ করা হয়েছে। পাশাপাশি সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পুনর্গঠন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংস্কার, দেশব্যাপী আদালত কার্যক্রম পরিদর্শন ও স্টেকহোল্ডার মিটিং আয়োজন করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে “Upholding Environmental Justice: The Role of Judges for a Sustainable Future” শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার এবং “Judicial Independence and Efficiency in Bangladesh” শীর্ষক জাতীয় সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে।

বিচার বিভাগকে আরও কার্যকর করতে দেওয়ানি ও ফৌজদারি এখতিয়ার অনুসারে পৃথক আদালত চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেশের চৌকি আদালত ও অধস্তন আদালতসমূহে কম্পিউটার সরবরাহ এবং বিচার বিভাগে মেধার বিকাশে “চীফ জাস্টিস ফেলোশিপ” চালুর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।